SIR Related Death In Bengal

‘শুনানিতে যেতে হবে’, বিএলও-র ফোন পেয়ে আতঙ্কিত যুবকের মৃত্যু সপ্তগ্রামে! কমিশনকে দুষছে তৃণমূল

সপ্তগ্রাম বিধানসভার সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তিসবিঘায় ৭৮ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন ৩৬ বছরের স্বপন বাগদি। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই দিনমজুর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৩৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

এসআইআর শুনানিতে ডাক পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় নথি ছিল না হাতের কাছে। ভয়ে এবং আতঙ্কে নিজেকে শেষ করে দিলেন হুগলির সপ্তগ্রামের যুবক। এমনই দাবি মৃতের পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের। বুধবার এই মৃত্যু ঘিরে শোরগোল এলাকায়।

Advertisement

সপ্তগ্রাম বিধানসভার সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তিসবিঘায় ৭৮ নম্বর বুথের ভোটার ছিলেন ৩৬ বছরের স্বপন বাগদি। পরিবারের লোকজন জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দিনমজুর যুবক। মৃতের স্ত্রী প্রতিমা বাগদি বলেন, ‘‘এসআইআর শুনানির জন্য বিএলও ওকে ফোন করে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু আমার স্বামীর কোনও কাগজ নেই। শুধু ভোটার কার্ড আছে। তাই আতঙ্কে ছিল।’’ তিনি জানান, বিএলও-র কাছ থেকে ফোন পাওয়ার পরেই মনখারাপ হয়ে যায় স্বপনের। তার পর ছোট কারণে ঝগড়াও করেছিলেন। রাতে সকলে ঘুমোনোর পর আত্মহত্যা করেন তিনি।

যুবকের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিসবিঘা এলাকায় গিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য মানস মজুমদার বলেন, ‘‘স্বপনদের পরিবার দীর্ঘ দিন ধরেই রেললাইনের ধারে বসবাস করে। কোনও কাগজপত্র নেই ওদের। এসআইআর শুনানিতে ডাক পেয়ে বিপাকে পড়ে যান স্বপন। এমনকি, বিএলও বাড়িতে গিয়ে নোটিস দেননি। ফোন করে বলেছিলেন, শুনানিতে যেতে হবে। অন্য এক স্বপন বাগদিকে নোটিস দিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গতকাল তাঁর শুনানি ছিল। চুঁচুড়া মগরা বিডিও অফিসে তাঁর কাগজ মিলছে না দেখে তিসবিঘার স্বপনকে ফোন করেছিলেন বিএলও।’’

Advertisement

এলাকায় সরকারি জায়গায় দীর্ঘ দিন ধরে বসবাস করলেও নথিপত্র নেই ওই দুঃস্থ পরিবারের। তৃণমূল বলছে, এই প্রাণহানির দায় নির্বাচন কমিশনের। শাসকদলের নেতৃত্ব বলেন, ‘‘আমরা বার বার অভিযোগ করেছি। এত তাড়াহুড়ো করে এস আই আর করতে গিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলছে নির্বাচন কমিশন। এই মৃত্যু তার আরও একটি উদাহরণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement