arrest

Arrest: হিরের আংটিতে বাগদান, বিয়ের আগেই কানপুরবাসী বাগদত্তার অভিযোগে ধৃত হাওড়ার যুবক

কানপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ২১:১৯
Share:

সুনীল চাণ্ডিল এবং সাঙ্কেতিকা কুমারীর বাগদানের ছবি। সুনীলের পরিবার সূত্রে পাওয়া। নিজস্ব চিত্র

উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এক যুবতীকে ফুসলিয়ে এ রাজ্যে নিয়ে আসার অভিযোগে হাওড়ার এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। কানপুর থানার পুলিশ ওই যুবককে ১৪ দিনের গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে গিয়েছে। যদিও ওই যুবকের পরিবারের দাবি, পাত্র এবং পাত্রীর বাগদান হয়ে গিয়েছে। তার পরেও ওই যুবককে ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বাসিন্দা সুনীল চাণ্ডিলকে কানপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁর পরিবারের দাবি, বছর দুয়েক আগে কানপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়ে সুনীলের সঙ্গে আলাপ হয় সেখানকারি বাসিন্দা সাঙ্কেতিকা কুমারীর। পেশায় ব্যবসায়ী সুনীলের সঙ্গে সাঙ্কেতিকার আলাপ ক্রমশ গভীর হয়। সুনীলের পরিবারের দাবি, গত বছর এপ্রিলে হিরের আঙটি পরিয়ে বাগদান হয় দু’জনের। এ বছরই তাঁদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বলেও সুনীলের পরিবারের দাবি। কিন্তু তার আগেই ঘটল অঘটন।

Advertisement

সাঙ্কেতিকা এবং তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কানপুর থানার পুলিশ শনিবার রাতে সুনীলকে হাওড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। রবিবার সুনীলকে হাওড়া আদালতে পেশ করে কানপুর পুলিশ। এর পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। তাঁকে ১৪ দিনের ট্রান্সজিট রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুনীলের দিদি গীতা হেলা দাবি করেছেন, ‘‘বাগদানের পর থেকেই সাঙ্কেতিকা এবং তাঁর মা ব্ল্যাকমেল করছিলেন তাঁদের পরিবারকে। মোটা টাকা না দিলে বিয়ে ভেস্তে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন ওঁরা। এর পর বেশ কয়েক দফায় আমরা টাকা দিই ওদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও আরও টাকা দাবি করছিলেন ওঁরা। তাই আমরা আর সুনীলের বিয়েতে আর মত দিইনি।’’ সাঙ্কেতিকা নাবালিকা নয় বলেও দাবি সুনীলের পরিবারের।

Advertisement

সুনীলের আইনজীবী অনুপ খারওয়ার বলেন, ‘‘ব্ল্যাকমেল করার জন্যই দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর সে কারণেই ইচ্ছাকৃত ভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে সুনীলকে। আমাদের কাছে সব তথ্য প্রমাণ আছে। সে সব নিয়ে আমরা কানপুর আদালতে যাব সুনীলের জামিনের জন্য।’’ কানপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুনীলের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুনীলের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন