Chandannagar

পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি, জমছে ক্ষোভ

২০১০ সাল থেকে এই ওয়ার্ডের ক্ষমতায় তৃণমূল। গত পুরভোটে তৃণমূলের সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ সিপিএমের লিপিকা চক্রবর্তীকে ৩০৫ ভোটে হারান।

Advertisement

কেদারনাথ ঘোষ

চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:০৮
Share:

এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে এ ভাবেই পড়ে থাকে আবর্জনা। নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিক নাগরিক পরিষেবা নিয়েই হরেক প্রশ্ন রয়েছে এ তল্লাটে। এলাকা নিচু। অল্প বৃষ্টিতেই জল দাঁড়িয়ে যায়। পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। রাস্তাঘাট সাফাইয়ের হালও তথৈবচ। চন্দননগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের ক্ষোভ, তিন বছর নির্বাচিত পুরবোর্ড না থাকায় অবস্থা আরও বেহাল হয়েছে।

Advertisement

২০১০ সাল থেকে এই ওয়ার্ডের ক্ষমতায় তৃণমূল। গত পুরভোটে তৃণমূলের সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ সিপিএমের লিপিকা চক্রবর্তীকে ৩০৫ ভোটে হারান। জিতে ডেপুটি মেয়র হন সঙ্ঘমিত্রা। তিনি ওই পদে বসায় এই ওয়ার্ডের লোকেরা ভেবেছিলেন, পরিষেবায় গতি আসবে। কিন্তু তা হয়নি। এলাকাবাসীর খেদ, পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়ার পরে পরিষেবা থমকে যায়। কাউন্সিলর না থাকায় ছোটখাট প্রয়োজনেও পুরসভায় বা বিধায়কের অফিসে উজিয়ে যেতে হয়েছে নাগরিকদের। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। পরিষেবার খামতির কথা মেনে নিচ্ছেন শাসক দলের বড় অংশই।

চন্দননগরের মূল নিকাশি ব্যবস্থা বা ‘গড়’ এই ওয়ার্ডের পশ্চিম দিক দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার সুফল এই ওয়ার্ড পায় না। কেননা, ওয়ার্ডের যা অবস্থান, গড়ের পাড় তার থেকে উঁচু। ফলে, এই এলাকার জল সেখানে নামে না। অভিযোগ, এলাকার নিকাশি নালা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। প্লাস্টিক জমে নর্দমার জল বাধাপ্রাপ্ত হয়। মশা-মাছির উপদ্রব হয়। পরিবেশ দূষিত হয়। ওয়ার্ডে বেশ কিছু জায়গায় এখনও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। এতে মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে। এলাকা ঘুরে দেখা গেল, রাস্তাঘাট পাকা হলেও যততত্র ছড়িয়ে রয়েছে আবর্জনা।

Advertisement

দিনেমারডাঙা গভর্নমেন্ট কলোনির কয়েক জন মহিলার অভিযোগ, বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হতে হয়। সাফাই নিয়মিত হয় না। জৈব ও অজৈব আবর্জনা রাখার পাত্র দেওয়া হলেও নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ চালুই করতে পারেনি পুরসভা। সঙ্ঘমিত্রার দাবি, বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিযুক্ত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন