Abduction

মায়াপুরে টাকা আনতে গিয়ে অপহৃত চুঁচুড়ার ব্যবসায়ী, ধুবুলিয়া থেকে উদ্ধার পুলিশের

ধার দেওয়া টাকা ফেরত নিতে হুগলি জেলার চুঁচুড়া থেকে নদিয়া জেলার মায়াপুরে যাচ্ছিলেন ছাপাখানা ব্যবসায়ী মিঠুন কুন্ডু। সেখানে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৩৮
Share:

ধৃত দুই অপহরণকারী। নিজস্ব চিত্র।

ধার দেওয়া টাকা ফেরত নিতে হুগলি জেলার চুঁচুড়া থেকে নদিয়া জেলার মায়াপুরে যাচ্ছিলেন ছাপাখানা ব্যবসায়ী মিঠুন কুন্ডু। সেখানে গিয়ে দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়েন তিনি। তাঁকে আটকে রেখে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। চুঁচুড়া থানার পুলিশের একটি দল উদ্ধার করেছে অপহৃত ব্যবসায়ীকে। ঘটনায় জড়িত ২ অভিযুক্ত গ্রেফতারের পাশাপাশি একটি মারুতি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মিঠুনের বাড়ি চুঁচুড়ার নলডাঙার নারায়ণপুরে। তিনি মায়াপুরের মুকুন্দ দাসের থেকে ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা পেতেন। বছর তিনেক ধরেই মুকুন্দের থেকে সেই টাকা পেতেন মিঠুন। বুধবার সকালে সেই টাকা দেবেন বলে মিঠুনকে ডাকেন মুকুন্দ। কর্মচারী সুমন দাস এবং সোমনাথ মণ্ডলকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি করে মায়াপুরে পৌঁছন মিঠুন। সেখানে গিয়েই অপহরণকারীদের খপ্পরে পড়েন তিনি। ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ফোন আসে তাঁর বাড়িতে।

এই খবর সন্ধ্যায় জানতে পারে পুলিশ। তার পর চুঁচুড়া থানার অফিসার তীর্থসারথি হালদারের নেতৃত্বে চন্দননগর পুলিশের একটি গোয়েন্দা দল সাদা পোশাকে মায়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। ব্যবসায়ীর ফোন থেকে বার বার ফোন আসতে থাকে। দেখা যায়, ঘন ঘন অবস্থায় বদলাচ্ছেন অপহরণকারীরা। প্রথমে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করলেও পরে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ব্যবসায়ীকে ছাড়তে রাজি হয় দুষ্কৃতীরা। টাকা নিয়ে পুলিশ হাজির হয় নদিয়ার ধুবুলিয়ায়। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টে নাগাদ ধুবুলিয়ার টিবি হাসপাতালের পরিত্যক্ত আবাসন থেকে ব্যবসায়ী ও তাঁর কর্মচারিদের উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ দুষ্কৃতীকেও। যে মারুতি গাড়ি করে অপহরণ করা হয়ছিল সেটিও আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, অপহরণের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রই এই কাজ করেছে। যদিও ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুকুন্দু দাস পলাতক।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই ব্যক্তির নাম বিশ্বনাথ সাহা এবং সুজিত ঘোষ। এঁরা ২জনই নবদ্বীপের বাসিন্দা। মুক্তিপণের টাকা নিতে এলে তাঁরা ধরা পড়েন বলে জানিয়েছে পুলিশ। চন্দননগরের ডিসি তথাগত বসু বলেছেন, ‘‘এরা একটি চক্র হিসাবে কাজ করেন। এ আগে পঞ্জাব থেকে আসা এক ব্যক্তিকেও অপহরণ করেছিল এই চক্রের লোকেরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন