Narendra Modi

মোদীর হেলিপ্যাডে পা নয়, মমতার কপ্টার নামবে পাশে

মোদীর হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ে। এর প্রতিবাদে পরিবেশকর্মীরা সরব হন। দলনেত্রীর সভার আগে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে তৃণমূলও।

Advertisement

প্রকাশ পাল

সাহাগঞ্জ শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৪
Share:

ডানলপ মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি চলছে (উপরে)। ছবি: তাপস ঘোষ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সভা করে গিয়েছেন সোমবার। হুগলির সাহাগঞ্জে ডানলপ কারখানার একই মাঠে আজ, বুধবার পাল্টা সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

সোমবারের সভায় অনুন্নয়ন থেকে দুর্নীতি— নানা অভিযোগে তৃণমূলকে বিদ্ধ করেছেন মোদী। কোন সুরে তাঁর জবাব দেবেন মমতা, বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় সেই নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কৌতুহলের অন্ত নেই। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে জেরা করেছে সিবিআই। তা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রী কিছু বলেন কিনা, রাজনৈতিক মহলে আগ্রহ তৈরি হয়েছে তা নিয়েও।

সোমবার সন্ধ্যায় বিজেপির সভা শেষ হতেই মঞ্চ খোলার কাজ শুরু হয়ে যায়। একই সঙ্গে কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায়। বিজেপির মতোই তৃণমূলও মঞ্চ বেঁধেছে মাঠের পশ্চিমপ্রান্তে। তবে, বিজেপির থেকে তাঁরা মঞ্চ কিছুটা এগিয়ে এনেছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য তিনটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁর একটাও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ব্যবহার করা হবে না। মোদীর সভামঞ্চ যেখানে হয়েছিল, সেই জায়গায় মঙ্গলবার নতুন হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। দুপুরে হেলিকপ্টার নেমে মহড়াও দেয়।

Advertisement

মোদীর হেলিপ্যাড তৈরির জন্য বেশ কিছু গাছ কাটা পড়ে। এর প্রতিবাদে পরিবেশকর্মীরা সরব হন। দলনেত্রীর সভার আগে বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে তৃণমূলও। এ দিন ওই চত্বরে কাটা গাছের পাশে ২৫টি গাছের চারা লাগান চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘এত গাছ কাটা হল। এ জন্য পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র থাকলে বিজেপিকে তা দেখানোর আবেদন জানাচ্ছি। এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য নতুন গাছ বসানো হল।’’ হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির যুব সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণেই গাছ কাটা নয়, ছাঁটা হয়েছিল। প্রচারের আলোয় আসতে তৃণমূল এ নিয়েও রাজনীতি করছে।’’

বন্ধ ডানলপ কারখানার ‘অনাদরে’ পড়ে থাকা চৌহদ্দি এখন রাজনীতির উত্তাপে ফুটছে।

প্রধানমন্ত্রীর হেলিপ্যাড তৈরির জন্য কাটা পড়া গাছের জায়গায় নতুন গাছ বসাচ্ছেন অসিত মজুমদার। ছবি: তাপস ঘোষ

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় মাঠভর্তি লোক হয়েছিল। মমতার সভায় কত মানুষ আসেন, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের আগ্রহ তুঙ্গে। তৃণমূল নেতৃত্বের কাছেও বিষয়টি ‘চ্যালেঞ্জ’। তৃণমূল শিবিরের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর সভায় মাঠ ভরাতে অন্য জেলা থেকে লোক আনা হয়েছিল। জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বাঁকুড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, হাওড়া প্রভৃতি জায়গা থেকে ওরা লোক এনেছিল। আমাদের তা করতে হবে না। শুধু হুগলি জেলার লোকই মাঠ ভরিয়ে দেবেন। কিছু দিন আগেই পুরশুড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এত মানুষ গিয়েছিলেন যে, হাজার হাজার লোক মাঠে ঢুকতে পারেননি।’’ বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সভার মাঠ হুগলি জেলার লোকই ভরিয়েছেন। লোক না হওয়ার আশঙ্কায় তৃণমূল এখন থেকেই কাঁদুনি গাইতে শুরু করেছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন