Ayan Sil

অয়ন গ্রেফতার হতেই বেপাত্তা এলআইসির এই প্রাক্তন এজেন্ট, কোথায় প্রোমোটার ‘ঘনিষ্ঠ’ শমীক?

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের গ্রেফতারের পর পরই তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। অয়নের সংস্থার ডিরেক্টর পদে ওই ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুগলি শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:১৭
Share:

অয়নের গ্রেফতারের পরই তদন্তকারীদের নজরে তাঁর ঘনিষ্ঠরা। ফাইল চিত্র।

রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলের আরও এক ঘনিষ্ঠকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। অয়নের গ্রেফতারের পর থেকেই ‘গায়েব’ হয়ে গিয়েছেন শমীক চৌধুরী ওরফে বাপ্পা নামে এক ব্যক্তি। অয়নের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত শমীককে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, অয়নের একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে শমীকের। অয়নের গ্রেফতারের পর শমীককে নিয়ে কানাঘুষো চলছে তাঁর এলাকায়।

Advertisement

কে এই শমীক? তদন্তে নেমে ‘এবিএস ইনফ্রাজোন’ নামে অয়নের একটি সংস্থার হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে দাবি, ওই সংস্থার ডিরেক্টর পদে নাম রয়েছে শমীকের। হুগলির চকবাজার এলাকায় দোতলা বাড়ি রয়েছে তাঁর। তবে সেখানে তাঁর টিকি পাওয়া যায়নি। অয়নের গ্রেফতারের পর থেকেই নাকি শমীক ‘বেপাত্তা’ হয়ে গিয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, এক সময় এলআইসির এজেন্ট ছিলেন শমীক। পরে অয়নের সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ বাড়ে। চাকরির নামে টাকা তোলার যে অভিযোগ উঠেছে অয়নের বিরুদ্ধে, এই কারবারে তাঁর সঙ্গী ছিলেন নাকি শমীক! এমন কথাই বলছেন এলাকাবাসীদের একাংশ।

স্থানীয়দের একাংশের দাবি, চুঁচুড়া ছাড়ার পর শমীকের বাড়িতে ভিড় জমাতেন পাওনাদাররা। এই নিয়ে ঝামেলাও হত। চকবাজার এলাকায় দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন শমীক। কিন্তু সেখানে বেশি দিন থাকেননি। কয়েক বছর আগে ওই বাড়ির নীচের তলা ভাড়া দেন এক ব্যক্তিকে। শমীক প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন প্রদীপ দাস নামে ওই ভাড়াটিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘মাসে মাসে ভাড়া দিই। কোনও কোনও মাসে বাড়িতে এসে ভাড়া নিয়ে যান শমীকের স্ত্রী। গত মাসে শেষবার এসেছিলেন।’’

Advertisement

শমীক সম্পর্কে ওই ভাড়াটিয়া আরও বলেছেন, ‘‘শুনেছি, কলকাতায় থাকেন। তবে কোথায় থাকেন, জানি না। আগে শুনেছিলাম শমীক ধরা পড়েছে। তার পর আর কোনও যোগাযোগ নেই। কলকাতায় হোটেল করেছে বলে শুনেছিলাম।’’ শমীকের সঙ্গে ‘এগ্রিমেন্ট’ করেই বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ভাড়াটিয়া।

শমীকের সেই বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে হুগলির প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেই অয়নের ব্যাপারে জানতে পারেন তদন্তকারীরা। শান্তনুর ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অয়ন। গত শনিবার রাতে অয়নের সল্টলেকের অফিসে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর রবিবার গ্রেফতার করা হয় অয়নকে। আর এর পরই তদন্তকারীদের আতশকাচের তলায় অয়নের ঘনিষ্ঠরা। ইতিমধ্যেই কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়র শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম ভেসে এসেছে। অয়নের প্রযোজনা সংস্থার ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। ছবিতে কাজ করার পারিশ্রমিকের বদলে অয়ন তাঁকে একটি গাড়ি দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন শ্বেতা। সেই পর্বের পর এ বার আরও এক অয়নের ‘ঘনিষ্ঠ’-এর নাম ঘিরে চর্চা শুরু হল। শ্বেতা ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তবে এখনও ‘আড়ালে’ শমীক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন