Manoranjan Byapari

Manoranjan Byapari: বলাগড়ের দলীয় নেতারাই বিধানসভা ভোটে হারিয়ে দিতে চেয়েছিল, বিস্ফোরক বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী

বিধায়কের বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য় করা, পাল্টা দাবি মনোরঞ্জনের নিশানায় থাকা বলাগড়ের নেতাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২১ ০২:৩৫
Share:

—ফাইল চিত্র।

নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধে নেটমাধ্যমে তোপ দাগলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। বুধবার রাতে ফেসবুকে তাঁর দাবি, বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রে জিতলেও ওই এলাকার দলীয় নেতাদের একাংশের কাছে তিনি বহিরাগত। জেতার পরেও বলাগড়ে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্তরে কটূক্তিও করা হচ্ছে। এমনকি, ওই নেতারাই তাঁকে ভোটে হারানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও বিধায়কের এই বিস্ফোরক মন্তব্যগুলি যে দলকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য করা, তেমনই পাল্টা দাবি করেছেন মনোরঞ্জনের নিশানায় থাকা বলাগড়ের ওই নেতারা।

হুগলির বলাগড়ে জিরাট কলেজে টাঙানো পোস্টারে দলীয় নেতাদের ছবি নিয়ে বিধায়কের সঙ্গে গন্ডগোলের সূত্রপাত। ওই পোস্টারে বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক অসীম মাঝি এবং জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি রয়েছে। ওই দু’জনের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক মনোরঞ্জন। তিনি বলেন, “কোনও কলেজে বা সরকারি জায়গায় মমতা’দির ছবি ছাড়া অন্য নেতার ছবি থাকবে না বলে দলের নির্দেশ। তবে জিরাট কলেজের গেটের সামনে অসীম মাঝি এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেদের ছবি টাঙিয়ে কী বোঝাতে চাইছেন? দিদির এতগুলো জনহিতকর প্রকল্প রয়েছে, সে ছবি টাঙানো উচিত। কিন্তু কোনও ব্যক্তি বিশেষের ছবি থাকবে না। এমনকি আমারও ছবি রাখা হবে না। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকবে। আমাকে জিরাট কলেজের সভাপতি করেছে সরকার ও দল। অসীম এবং শান্তনুর অনুগামীরা কলেজে ছবি লাগিয়ে গন্ডগোল পাকাচ্ছে। এর কারণটা কি?”

Advertisement

এতেই থামেননি মনোরঞ্জন। ওই দুই নেতাই সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা ভোটে তাঁকে হারানোর চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন। বিধায়কের কথায়, “আমি বহিরাগত বলে আমাকে কেউ সহ্য করতে পারছে না। বলাগড়ে অসীম নিজের বুথে ৫০ ভোটে হেরেছে। জিরাটের বুথে আমার হার হয়েছে। অসীমের কাছে এটাই কি পাওনা? আমার ভোটপ্রচারের সময় শান্তনু একটাও মিছিল-মিটিংয়ে ছিল না।”

ওই নেতাদের কাছ থেকে কটূক্তিও সহ্য করতে হচ্ছে বলে দাবি মনোরঞ্জনের। তিনি বলেন, “এক দল লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় অনবরত আমার বিরুদ্ধে কুৎসিত মন্তব্য করে। আমার গলায় গামছা কেন? কেনই বা টোটো চালাই, খৈনি খাই? তা নিয়েও কটূক্তি-ব্যঙ্গবিদ্রুপ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলছে না বলেই মুখ খুলতে হচ্ছে। এতে যদি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে, আসুক! ভোটের সময় কারা ষড়যন্ত্র করেছে, সে খবর আসছে। শান্তনুর বুথে আমার দেড়শো ভোটে হার রয়েছে। অসীম এবং শান্তনু (বিধানসভা ভোটে) হারিয়ে দিতে চেয়েছিল। এ নিয়ে দলকে জানাব। দলই সঠিক ব্যবস্থা নেবে।”

Advertisement

বিধায়কের আক্রমণের পর মুখ খুলেছেন অসীম। তিনি বলেন, “বিধায়ক যে অভিযোগ করেছেন, সেটা তাঁর অভিরুচি। আমার বুথে হারলেও গোটা বলাগড়ে জিতেছেন। সেটাই তো বড় কথা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করান না! আমি ওঁকে বহিরাগত বলছি না।” অন্য দিকে, মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে শান্তনুর পাল্টা অভিযোগ, “বিভিন্ন সময়ে দলকে বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছেন তিনি। ওঁর বিষয়ে কিছু বলব না। তবে এ নিয়ে দলীয় স্তরে জানাব। কোনও ব্যবস্থা না হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় জবাব দিয়ে দেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন