দিন কয়েক আগে মধ্যমগ্রাম কালীবাড়ি এলাকা থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল হালকা নীল রঙের একটি গাড়ি। বুধবার রাতে কোন্নগরে হাতির কুলের অদূরে জিটি রোড থেকে সেই গাড়িটি উদ্ধার করল পুলিশ। গ্রেফতার করা হল গাড়িতে থাকা চার দুষ্কৃতীকে। তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, ধৃতেরা গাড়ি-চুরি চক্রের পাণ্ডা। তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দু’রাউন্ড গুলি এবং চারটি বোতল বোমা মিলেছে।
ধৃতদের নাম সন্তোষ প্রসাদ, চন্দনকুমার সিংহ, রাহুল দুবে এবং শেখ হাফিজ ওরফে ভাইপো। সন্তোষ এবং চন্দন ভদ্রেশ্বরের অ্যাঙ্গাস এলাকার বাসিন্দা। রাহুল ভদ্রেশ্বরের রবীন্দ্রনগরে থাকে। আর ভাইপোর বাড়ি ডানকুনির চাকুন্দিতে। বৃহস্পতিবার তাদের শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হয়। এসিজেএম নচিকেতা বেরা তাদের ১৪ দিন জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের দাবি, ধৃতেরা গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। জেরার মুখে তারা জানায়, সেটি চোরাই গাড়ি। চালককে মাদক খাইয়ে অচেতন করে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যায় তারা। চালককে বর্ধমানের কোনও জায়গায় গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ওই চালক দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করেছেন। তদন্তকারীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, গত পয়লা এপ্রিল মধ্যমগ্রাম কালীবাড়ি এলাকা থেকে গাড়িটি চুরি যায়। গাড়ির মালিক, কলকাতার এয়ারপোর্ট থানা এলাকার মাইকেল নগরের বাসিন্দা সুজয়শঙ্কর বসু এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেন। গাড়িটি উদ্ধারের পরে উত্তরপাড়া থানার আইসি অরিজিৎ দাশগুপ্ত সুজয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
জেলা পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘ধৃতেরা জেরায় অপরাধের কথা কবুল করেছে। এর আগে কোথা থেকে কতগুলি গাড়ি চুরির সঙ্গে ওরা যুক্ত ছিল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ওই চক্রে আরও কারা জড়িত, ধৃতদের জেরা করে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।’’