রক্তাক্ত: এখানেই খুন করা হয় উমাদেবীকে। নিজস্ব চিত্র
কাটারির কোপে নিজের বাড়ির বারান্দাতেই খুন হয়ে গেলেন এক বৃদ্ধা। বৃহস্পতিবার সকালে উলুবেড়িয়ার খলিসানির রামনগরের পাঁজাপাড়ার বাসিন্দা উমা পাঁজা (৭৯) নামে ওই বৃদ্ধার দেহ এবং পাশে পড়ে থাকা কাটারিটি উদ্ধার করে পুলিশ। বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আটক করা হয়েছে নিহতের পুত্রবধূ এবং দুই নাতিকে।
পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা জানান, গোটা বাড়িটি গ্রিল দিয়ে ঘেরা। বাইরে থেকে কেউ গিয়ে খুন করবে, এমন সম্ভাবনা কম। পারিবারিক বিবাদের জেরে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছেলে অনিল, পুত্রবধূ অনিতা এবং দুই নাতি— বছর বাইশের চিরঞ্জিৎ ও বছর তেরোর পল্লবকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন উমাদেবী। তবে, অনিতার সঙ্গে তাঁর তেমন বনিবনা ছিল না। এ দিন সকালে অনিতাই পড়শিদের ডেকে তাঁর শাশুড়ির খুন হওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। বৃদ্ধার শরীরের একাধিক জায়গায় কোপ ছিল। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সকালে অনিল অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না। তিনি চেঙ্গাইলের একটি চটকলের শ্রমিক। রাতের শিফ্টে কাজে গিয়েছিলেন। সকালে ফিরেই তিনি মায়ের খুন হওয়ার কথা জানতে পারেন।
অনিল বলেন, ‘‘মা তুকতাক করতেন। নানা কুসংস্কারেও বিশ্বাস করতেন। আমার বড় ছেলে কয়েক বছর আগে মানসিক ভারসাম্য হারায়। এ জন্য মাকেই দুষত অনিতা। মাঝে কয়েকবার অনিতা ও চিরঞ্জিৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্ত্রীর সন্দেহ আরও বাড়ে। তবে, খুন করবে, ভাবতে পারছি না।’’