স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত সোমবার থেকে স্কুলে যাওয়া শুরু করল চুঁচুড়ার অভিজ্ঞানকিশোর দাস। অভিযোগ, যক্ষ্মা হয়েছে এই সন্দেহে তাকে ক্লাসে ঢুকতে দেননি হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে তার ক্লাস টিচার। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতর, স্বাস্থ্য দফতর, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিজ্ঞানের বাবা-মা। আনন্দবাজারে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পরেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা বাড়ি এসে অভিজ্ঞানের সঙ্গে কথা বলে যান। স্কুলের টিচার ইনচার্জও প্রতিশ্রুতি দেন, স্কুলে এলে যাতে কোনও সমস্যা না হয় এ বার তিনি নিজে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে হুগলি কলেজিয়েট স্কুলে। এ দিন ছিল বাংলা পরীক্ষা। শুরু থেকেই পরীক্ষাগুলি দিতে পারবে কি না, সে নিয়ে নিজেও খুবই দুশ্চিন্তায় ছিল চতুর্থ শ্রেণির ওই পড়ুয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবটাই নির্বিঘ্নে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা অনিন্দ্যকিশোর দাস। তিনি বলেন, ‘‘টিচার ইন চার্জ নিজে পরীক্ষা শুরুর সময়ে তদারকি করে গিয়েছেন। অন্য শিক্ষকেরাও ওর সঙ্গে সহানুভূতি নিয়েই কথা বলেছেন। আমার ছেলের সঙ্গে যা ঘটেছে, আশা করি ভবিষ্যতে অন্য কারও সঙ্গে তা ঘটবে না।
অভিজ্ঞানের যক্ষ্মা হয়েছে কি না, সেই নিষ্পত্তি নিয়ে টালবাহানা চলছিল গত সেপ্টেম্বর থেকে। গোড়ায় যক্ষ্মা হয়েছে ধরে নিয়ে যক্ষ্মার ওষুধ চালু করে দিয়েছিলেন কলকাতার চিকিৎসকেরা। যদিও দক্ষিণ ভারতে গিয়ে সেই বিভ্রান্তির অবসান হয়। ভেলোরের ডাক্তারেরা সব রকম পরীক্ষা করে লিখিত ভাবে জানান, তেমন কোনও অসুখই হয়নি অভিজ্ঞানের। যা হয়েছে তা শুধু কিছু উপসর্গভিত্তিক সমস্যা। ভেলোর থেকে ফিরে গত ২১ নভেম্বর যখন স্কুলে যোগ দিতে যায় অভিজ্ঞান, তখন তার ক্লাস টিচার তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। ‘‘তোর বাজে রোগ হয়েছে। তুই আর স্কুলে আসবি না’’ বলে তাকে ক্লাস থেকে বার করে দেন বলেও লিখিত অভিযোগ করেছিলেন অভিজ্ঞানের বাবা।