আজ শুরু দেড়শো বছরের পূর্তি অনুষ্ঠান

বৈদ্যবাটীর ডাক প্লাস্টিকমুক্ত শহর

দেড়শো বছরে পা দিয়ে প্লাস্টিক-মুক্তির উপায় খুঁজতে শুরু করল বৈদ্যবাটী পুরসভা। বেহাল নিকাশি থেকে সৌন্দর্যায়নে বাধা— সব কিছুতেই প্লাস্টিক এবং থার্মোকলকে দোষী ঠাওড়াচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

প্রকাশ পাল

বৈদ্যবাটী শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০১:২২
Share:

উজ্জ্বল: আলোয় সেজেছে পুরভবন। নিজস্ব চিত্র

দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল!

Advertisement

দেড়শো বছরে পা দিয়ে প্লাস্টিক-মুক্তির উপায় খুঁজতে শুরু করল বৈদ্যবাটী পুরসভা। বেহাল নিকাশি থেকে সৌন্দর্যায়নে বাধা— সব কিছুতেই প্লাস্টিক এবং থার্মোকলকে দোষী ঠাওড়াচ্ছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। স্মরণীয় বছরে তাঁদের অঙ্গীকার— শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত জনপদ হিসেবে গড়ে তোলা।

১৮৬৯ সালের পয়লা এপ্রিল গঙ্গাপাড়ের এই পুরসভার পথচলা শুরু। সেই সময় পুরসভার আয়তন অনেক বেশি ছিল। পরবর্তী কালে এখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চাঁপদানি পৃথক পুরসভা হয়। মূলত শেওড়াফুলি এবং বৈদ্যবাটী— দু’টি শহর নিয়ে এই পুরসভা। সময়ের সাথে সাথে এখানে বসতি বেড়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি— এই বদনাম বৈদ্যবাটীর বহু দিনের। পুরকর্তারা মনে করছেন, প্লাস্টিক এবং থার্মোকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সমস্যা অনেকটাই মিটবে।

Advertisement

আজ, পুরসভার দেড়শো বছর পূর্তি উৎসব শুরু হচ্ছে। সেই উপলক্ষে শনিবার শহরের সত্যজিৎ রায় ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুরপ্রধান অরিন্দম গুঁইন। উপ-পুরপ্রধান ব্রহ্মদাস বিশ্বাস-সহ অন্য পুর-পারিষদ এবং কাউন্সিলররাও সেখানে ছিলেন। পুরপ্রধান জানান, আজ সকা‌লে নওগাঁ থেকে জিটি রোড ধরে জোড়া অশ্বত্থতলা পর্যন্ত শোভাযাত্রা হবে। আগামী এক বছর ধরে নানা অনুষ্ঠান হবে। মেয়েদের ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির খোলার চিন্তাভাবনা চলছে।

পুর-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এমনিতে কঠিন বর্জ্য প্রতিস্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে জঞ্জাল অপসারণে এই শহর অনেক আধুনিক হয়েছে। কিন্তু মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক। সেই কারণেই প্লাস্টিকমুক্ত এবং সবুজ শহর গড়ার ডাক। ব্যবসায়ীরা যাতে ৬০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক ব্যাগ না দেন এবং সাধারণ ক্রেতারা না নেন, তা নিয়ে প্রচার চলছে। শেওড়াফুলি হাট রাজ্যের অন্যতম বড় বাজার। সেখানে প্রচারে জোর দেওয়া হবে। বিকল্প হিসেবে কাগজের ঠোঙা, চটের ব্যাগ ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ বান্ধব ওই সব জিনিস তৈরি করা হবে।

পুরপ্রধানের ঘোষণা, ‘‘মাস দু’য়েক প্রচার চালানো হবে। তার পরে বাজারে লাগাতার হানা দেওয়া হবে। প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার করলে জরিমানা করা হবে। অনুষ্ঠান বাড়িতে থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।’’ পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, প্লাস্টিক রোধে ব্যবস্থার পাশাপাশি শহর জুড়ে গাছ লাগানোর কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।

প্লাস্টিক বর্জনে ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা সুফল পেয়েছিল উত্তরপাড়া পুরসভা। কিন্তু নজরদারি শিথিল হতেই ফের প্লাস্টিকের রমরমা ফিরে আসে। বৈদ্যবাটী কি আদৌ পারবে প্লাস্টিক বর্জন করতে? সেই প্রশ্নই উড়ছে শহরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন