অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

ডেকে এনে হাঁসুয়ার কোপ বাম প্রার্থীকে

তারপরই তিনি স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে মনসাতলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেয় এক দল দুষ্কৃতী। কালীপদবাবুর দাবি, তাদের হাতে ছিল লাঠি, রড, হাঁসুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুড়াপ শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০১:২৫
Share:

জখম: হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কালীপদ ভূমিজ। নিজস্ব চিত্র

মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। অভিযোগ, হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ধনেখালির সিপিএম প্রার্থী কালীপদ ভূমিজকে। ভয়ে তিনি সপরিবার ঠাঁই নিয়েছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। শেষ রক্ষা হয়নি। একদল দুষ্কৃতী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই আত্মীয়ের বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে কালীপদবাবুকে। তাঁর পায়ের হাড় ভেঙেছে। হাঁসুয়ার কোপের ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে তিনি আপাতত চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুড়াপের কানাজুলির বাসিন্দা কালীপদবাবু ধনেখালি জেলা পরিষদের ৩০ নম্বর আসনে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের টিকিটে। তাঁর দাবি, মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দিচ্ছিল শাসকদল। তাঁর বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায়। তারপরই তিনি স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে মনসাতলায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেয় এক দল দুষ্কৃতী। কালীপদবাবুর দাবি, তাদের হাতে ছিল লাঠি, রড, হাঁসুয়া।

ঘর থেকে ডেকে বাইরে এনে কালীপদবাবুকে মারধর করা হয়। লোহার রড দিয়ে মারধর করে, হাঁসুয়ার কোপও মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে ছিলেন তিনি বেশ কিছুক্ষণ। পরে অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করেন তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে প্রাণে মেরে ফেলতেই চেয়েছিল দুষ্কৃতী। রক্তাক্ত অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে পড়ায় দুষ্কৃতীরা ভেবেছিল মরেই গিয়েছে, তাই এলাকা ছেড়ে পালায় তারা।’’

Advertisement

হাসপাতালে শুয়ে কালীপদবাবু বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্য অনির্বাণ এবং অমিতের নেতৃত্বেই হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’ সেই বয়ান অনুযায়ী বুধবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘মনোনয়ন পর্ব শুরু হওয়া থেকেই বিরোধীদের উপর লাগাতার হামলা চলছে। গুড়াপের ঘটনাটি তারই প্রতিফলন। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনেও যাব।’’

জেলা গ্রামীণ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’

যদিও জেলা তৃণমূলের সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘এটা সিপিএমের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল। আমাদের দলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন