সাক্ষীর বাড়িতে গুলি

শ্যামপুরে ওসি নিগ্রহ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত

ওসি-র উপরে হামলার মামলাটির শুনানি চলছে হাওড়া আদালতে। সোমবারও সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন মতিয়র। মঙ্গলবারেও সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাড়িতে গুলি চলায় মতিয়র এ দিন আর সাক্ষ্য দিতে যাননি।

Advertisement

নুরুল আবসার ও সুব্রত জানা

শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ০১:১০
Share:

লক্ষ্যভ্রষ্ট: আলমারিতে গুলির চিহ্ন দেখাচ্ছেন মতিয়ার আলি খান। ছবি: সুব্রত জানা

গত বছরের গোড়ায় কিছু অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে শ্যামপুরের তৎকালীন ওসি সুমন দাস এবং সাব-ইনস্পেক্টর তরুণ পুরকায়স্থ আক্রান্ত হয়েছিলেন বাড়গড়চুমুকে। সেই মামলার এক প্রত্যক্ষদশী তথা সাক্ষী মতিয়র আলি খানকে সোমবার রাতে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল। তবে, গুলি তাঁর গায়ে লাগেনি। বাড়গড়চুমুকের তাঁর বাড়ির দরজা ফুটো করে গুলিটি আলমারিতে গিয়ে লাগে।

Advertisement

ওসি-র উপরে হামলার মামলাটির শুনানি চলছে হাওড়া আদালতে। সোমবারও সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন মতিয়র। মঙ্গলবারেও সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাড়িতে গুলি চলায় মতিয়র এ দিন আর সাক্ষ্য দিতে যাননি। ফলে, সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। মতিয়রের অভিযোগ, ‘‘সোমবার সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার সময়ে গ্রামেই ওসি-নিগ্রহে মূল অভিযুক্ত মুন্সি মতিয়রের ঘনিষ্ঠ মসিউর মুন্সি মামলা মিটে গেলে আমার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছিল। মনে হচ্ছে ও-ই গুলি চালিয়ে আমাকে খুনের চেষ্টা করে।’’ মঙ্গলবার সকালে মসিউরের বিরুদ্ধে থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ জানান মতিয়র আলি। তিনি জানান, সাধারণত নীচের ঘরে ঘুমোলেও সোমবার দোতলায় ছিলেন। নীচের ঘরে স্ত্রী-ছেলে ছিল। হামলাকারী তা না জেনে গুলি করে। বরাতজোরে তিনি বেঁচে গিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাস্থল একটি কার্তুজের খোল পাওয়া গিয়েছে। হামলাকারী এক জন না একাধিক, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, অভিযুক্ত মুন্সি মতিয়রের আইনজীবী রেজাউল করিমের পাল্টা দাবি, ‘‘সব মিথ্যা কথা। পুলিশ মুন্সি মতিয়রের বিরুদ্ধে ওসিকে মারার মামলা জোরদার করতে এই সব ঘটনা সাজাচ্ছে।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

গত বছরের ৪ জানুয়ারি রাতে একটি ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে অভিযুক্ত মুন্সি মতিয়র-সহ কয়েক জনকে ধরতে গিয়ে বাড়গড়চুমুকে আক্রান্ত হন শ্যামপুর থানার তৎকালীন ওসি সুমন দাস এবং সাব-ইনস্পেক্টর তরুণ পুরকায়স্থ। দু’জনকেই বেধড়ক মারা হয়। ওসির আঘাত বেশি ছিল। তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা পর্যন্ত ছিল বলে চিকিৎসকেরা সেই সময় জানিয়েছেন। মারধরের ঘটন‌ায় প্রধান অভিযুক্ত মুন্সি মতিয়রকে ওই রাতেই পুলিশ ধরে। সঙ্গে ধরা হয় আরও ৩০ জনকে। তাদের বিরুদ্ধে হামলা এবং খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়। মামলায় মোট ৪২ জন সাক্ষীর মধ্যে মতিয়রও আছেন। মুন্সি মতিয়ার-সহ ধৃত আট জন বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন