অসম্পূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। ছবি: সুব্রত জানা।
পুরো বাসস্ট্যান্ডের কাজ শেষ করার কথা ছিল মাস ছ’য়েক আগেই। কিন্তু হয়েছে মাত্র চাতালের কাজ। ফলে রাস্তার উপরেই এখনও বাস, অটো, ট্রেকার দাঁড় করিয়ে রাখেন চালকেরা। যানজট হচ্ছে এলাকায়। ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনাও। একটি যাত্রী প্রতিক্ষালয় থাকলেও তাও ছোট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। সমস্যাটি উদয়নারায়ণপুরের।
হাওড়া জেলার একটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা এই উদয়নারায়ণপুর। এই শহরের মধ্যেই রয়েছে ব্লক প্রশাসনের কার্যালয়, থানা, উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। এই শহরের রাস্তার দিয়ে উদয়নারায়ণপুর-হাওড়া, রামপুর-হাওড়া, উদয়নারায়ণপুর-তারকেশ্বর রুটের বাস চলাচল করে। এ ছাড়া ছোটখাট যানবাহন তো রয়েইছে। এক সময় কিন্তু যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বলতে কিছুই ছিল না। সম্প্রতি সেখানে পানীয় জল ও শৌচালয় করেছে প্রশাসন। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই উদয়নারায়ণপুরে বাসস্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা করে হাওড়া জেলা পরিষদ। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা খরচ ধরা হয়। ২০১৫ সাল নাগাদ বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও বাসস্ট্যান্ড চালু হয়নি।
দেখা গেল, মার্কেট কমপ্লেক্সের সামনে কিছুটা জায়গা ভরাট করে শুধু চাতাল তৈরি করা হয়েছে। বাসের চ্যানেল, ছাউনি, বিশ্রামাগার-সহ বাকি কাজ কিছুই হয়নি। জেলা পরিষদের দাবি, নতুন বকপোতা সেতুর অনুমোদন হয়ে যাওয়ায় বাসস্ট্যান্ডের কাজে একটু দেরি হয়েছে। কারণ, বকপোতা সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডটির এখনও সীমানা ঠিক হয়নি। সেটি হয়ে গেলে বাসস্ট্যান্ড তৈরির কাজ শুরু হয়ে যাবে। স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ডের কাজ শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে। শেষ হতে বেশি দিন লাগবে না।’’