Coronavirus in Howrah-Hoogly

করোনা সতর্কতায় খুলল না হুগলির দুই ধর্মস্থান

গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১ জুন থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২০ ০৫:০৯
Share:

তালা বন্ধ তারকেশ্বর মন্দির। —নিজস্ব িচত্র

রাজ্য সরকার ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু করোনা-আবহে সোমবার খুলল না হুগলির দুই ধর্মস্থান— তারকেশ্বর মন্দির এবং জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরা শরিফ। কবে থেকে তা খোলা হবে সে ব্যাপারে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি দুই ধর্মস্থানের কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ১ জুন থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলতে পারবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে, একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ধর্মীয়স্থানে প্রবেশ করা যাবে না। কোনও জমায়েত বা উৎসবও করতে পারবেন না কর্তৃপক্ষ।

এই ঘোষণার পর থেকেই হুগলির বিখ্যাত ধর্মস্থানগুলি কবে খুলবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। কারণ, ব্যান্ডেল চার্চ, তারকেশ্বর মন্দির এবং ফুরফুরা শরিফে বছরভর ভিড় লেগেই থাকে। ব্যান্ডেল চার্চ কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম মেনে ৮ জুন থেকে ওই ধর্মস্থান খোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সোমবার ফুরফুরা মাজার-মসজিদ কমিটির সম্পাদক পিরজাদা জিয়াউদ্দিন সিদ্দিকী জানান, এখন যা পরিস্থিতি, তাতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথাটাই তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের পরামর্শ, বাড়িতেই সকলে নমাজ পাঠ করুন। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরি। ফুরফুরা শরিফ এখনই সাধারণের জন্য খোলা হবে না। পরে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

Advertisement

তারকেশ্বর মন্দির এখন খোলা উচিত কিনা, সেই প্রশ্নে রবিবার সেখানকার মহন্ত মহারাজ হৃষীকেশ আশ্রম একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে মন্দির কমিটির সদস্যেরা ছাড়াও জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। সেখানেই মন্দির না-খোলার সিদ্ধান্ত হয়। মহন্ত মহারাজ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি, পরিবেশ এবং পরিকাঠামোর সার্বিক উন্নতি না হলে এখনই মন্দির জনসাধারণের জন্য না-খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে, পুজোপাঠ যথারীতি চলবে।’’

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, নির্দিষ্ট কোনও মেলা বা উৎসব ছাড়াও প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ আসেন। কিন্তু মন্দির খুলে গেলে সরকার নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে না। করোনা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

এ দিন অবশ্য পান্ডুয়ার শতাব্দীপ্রাচীন সিমলাগড় কালীমন্দির খুলেছে। সেখানে পুজো শুরুর আগে ভক্তদের মঙ্গল কামনায় হোম-যজ্ঞ হয়। বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির আগামী ৮ জুন খুলবে বলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন