সংস্কৃতি যেখানে যেমন...

উদয়নারায়ণপুর গড় ভবানীপুরে রামপ্রসন্ন বিদ্যানিকেতন সাধারণ পল্লি পাঠাগারের আয়োজনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব হয়ে গেল গত ১৭ মে। পাঠাগারের সেমিনার হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান শুরু হয় রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান দিয়ে। এর পর মঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নাচ, আবৃত্তি ও রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের ঘর’ শ্রুতিনাটকটির আসর ছিল উপভোগ্য।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০১:১০
Share:

রবীন্দ্রজয়ন্তী

Advertisement

উদয়নারায়ণপুর গড় ভবানীপুরে রামপ্রসন্ন বিদ্যানিকেতন সাধারণ পল্লি পাঠাগারের আয়োজনে রবীন্দ্রজয়ন্তী উৎসব হয়ে গেল গত ১৭ মে। পাঠাগারের সেমিনার হলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান শুরু হয় রবীন্দ্রনাথের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান দিয়ে। এর পর মঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নাচ, আবৃত্তি ও রবীন্দ্রনাথের ‘তাসের ঘর’ শ্রুতিনাটকটির আসর ছিল উপভোগ্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কবি নিমাই আদক। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্যা সুলেখা পাঁজা, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান যমুনা বেরা প্রমুখ।

পাঁচলা গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের উদ্যোগে গত ১৬ মে স্কুলপ্রাঙ্গণে পালিত হল রবীন্দ্রজয়ন্তী। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, কবির গান দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরবর্তীতে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক, ক্যুইজের আসর ছিল আকর্ষণীয়।

Advertisement

কবিপ্রণাম

আন্দুলে তোলা নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া আন্দুল পূর্বপাড়ার কথা শরিফ সংস্থার উদ্যোগে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানটি হল গত ১৭ মে। আন্দুল পূর্বপাড়া বাসস্টপ প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য, আবৃত্তি ইত্যাদি। জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও দেবাশিস ঘোষের শ্রুতিনাটকের আসর ছিল জমজমাট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুস্মিতা পাল ও রবীন ভট্টাচার্য। উদ্বোধন করেন সংস্থার সভাপতি শচীন ভট্টাচার্য।

আলোচনা

নানা ধরনের জ্বর নিয়ে বাউড়িয়ার গ্রামীণ চিকিৎসকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন হয়েছিল সম্প্রতি। ওই চিকিৎসকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শিবিরটির আয়োজন করা হয়েছিল বাউড়িয়া পূর্ব বুড়িখালি রাজশ্রী ভবনে। রোগ নিরাময়ে মানুষের সচেতনতা বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়। শিবিরে নেপালে ভূমিকম্পে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সেখানকার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অর্থও তোলা হয়। শিবিরটি পরিচালনা করেন সংস্থার বাউড়িয়া ইউনিটের সভাপতি অজয় অধিকারী।

ছ’দিনের অনুষ্ঠান

সম্প্রতি শীতলা পুজো উপলক্ষে বাউড়িয়ার ভাষাপাড়া বারোয়ারি পূজা কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছিল ছ’দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভাষাপাড়া শীতলাতলা প্রাঙ্গণে ওই অনুষ্ঠানে জাগরণী গান, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, একক ও সমবেত নৃত্যানুষ্ঠান, বাংলা ব্যান্ডের গান, আধুনিক ও বাংলা ছায়াছবির গানের আয়োজন করা হয়েছিল। উজানী অপেরার যাত্রাপালা ‘স্বর্গ আমার মায়ের পায়ে’ ছিল আকর্ষণীয়। সেই সঙ্গে গীতিনাট্য ও নৃত্যনাট্যের অনুষ্ঠানটিও হয়ে ওঠে উপভোগ্য। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার মাইতি ও সদস্য স্বপনকুমার জানা।

সাহিত্যের আসর

বাগনানের স্নেহাঞ্জলি ভবনে সম্প্রতি বসেছিল সাহিত্য পাঠের আসর। ‘বসুধৈব উৎসপ্রাণ’ পত্রিকা আয়োজিত ওই আসরে গল্প, প্রবন্ধ, স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন কবি-সাহিত্যিকরা। নেপালের ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা করেন সৌরেন্দুশেখর বিশ্বাস। ভূমিকম্পে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে লোকগীতি পরিবেশন করেন বাসুদেব দাস। উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক সুপ্রিয় ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন কবি কৃষ্ণা বসু, কবি পার্থ ঘোষ প্রমুখ। আসরে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ২৯ জন কবি ও সাহিত্যিক যোগ দিয়েছিলেন।

পান্তা উৎসব

বর্ষাকে আহ্বান করে চুঁচুড়ায় হয়ে গেল পান্তা উৎসব। মঙ্গলবার চুঁচুড়ার কারবালায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবে প্রায় ৪০০ জন স্থানীয় বাসিন্দা পান্তা ভাতের সঙ্গে মাছের ডিমের বড়া, পোস্তর বড়া, পেঁয়াজের বড়া, মাছের ঝাল এবং মাছ ভাজা দিয়ে মধ্যাহ্ণভোজ করেন। শেষ পাতে ছিল হিমসাগর আম। আয়োজক ছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। উদ্যোক্তাদের দাবি, গরমের সময় শরীরকে টান্ডা রাখতে পান্তা ভাত খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। পান্তা ভাত খাওয়ার পুরনো বাঙালী সংস্কৃতির প্রচার ও বর্ষাকে আহ্বান করেই তাঁদের এই উদ্যোগ।

চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে নজরুল স্মরণ। — নিজস্ব চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন