পাওনা টাকা না পেয়ে হাওড়া স্টেশন চত্ত্বর থেকে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশ জানায়, হুগলির শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটি থেকে অমল মজুমদার নামে ওই যুবককে উদ্ধার করে। অপহরণের অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীকালে মামলা চলাকালীন অপহরণের ধারাটি বাদ হয়ে যায়। মূল অভিযুক্ত সোলেমান মিস্ত্রী বাংলাদেশী, এই মর্মে অনুপ্রবেশের মামলা চলতে থাকে। শনিবার সেই মামলা থেকে মুক্তি পেলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, অমলের বাড়ি নদিয়ার শান্তিপুরে। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ তাঁর স্ত্রী পিঙ্কী শ্রীরামপুর থানায় এসে স্বামীকে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, সোলেমান অমলের কাছ থেকে কিছু টাকা পেতেন। অমল তা দিতে না পারাতেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ বাবদ মোটা টাকা চাওয়া হয়। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ওই রাতেই অমলকে উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশের দাবি।
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অরুণকুমার অগ্রবাল জানান, ঘটনার পরে ধৃতদের বাকিরা একে একে জামিন পেলেও মূল অভিযুক্ত সোলেমানের জামিন মেলেনি। তিনি অনুপ্রবেশকারী বলে চার্জশিট জমা করা হয়। অরুণবাবু বলেন, ‘‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল, আদালতে তা প্রমাণিত হয়নি। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক উত্তমকুমার নন্দী ওঁকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছেন।’’ সরকার পক্ষের আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘সোলেমান বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী বলে নিজেই স্বীকার করেছিল। রায় নিয়ে জেলার মুখ্য সরকারি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব।’’