সিভিক ভলান্টিয়ারকে মার, অভিযুক্ত প্রাক্তন বিধায়ক

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে যান বিমানবাবু। অভিযোগ, তিনি দীপঙ্কর পাল নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতের লাঠি কেড়ে সেই লাঠি দিয়েই তাঁকে মারধর করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগৎবল্লভপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৩৯
Share:

গাড়ি রাখা নিয়ে গোলমালে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধরের অভিযোগ উঠল জগৎবল্লভপুর কেন্দ্র তৃণমূলের সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক বিমান চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় প্রহৃত সিভিক ভলান্টিয়ার জগৎবল্লভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ জগৎবল্লভপুরের হাঁটাল মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তখন ওই জায়গায় গাড়ি দাঁড় করিয়েছেন বিমানবাবুর ভাইপো অপ্রতীম চক্রবর্তী। অভিযোগ, অপ্রতিমবাবু গাড়িটির জন্য রাস্তায় যানজট হয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়াররা অপ্রতিমবাবুকে গাড়িটি সরিয়ে নিতে বললেও তিনি রাজি হননি। উল্টে ফোন করে বিমানবাবুকে ডেকে পাঠান।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে যান বিমানবাবু। অভিযোগ, তিনি দীপঙ্কর পাল নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতের লাঠি কেড়ে সেই লাঠি দিয়েই তাঁকে মারধর করেন। তারপর গাড়ি নিয়ে বিমানবাবু এবং তাঁর ভাইপো চলে যান। ওই রাতেই প্রহৃত সিভিক ভলান্টিয়ার বিমানবাবু এবং তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

Advertisement

বিমানবাবুর মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এসএমএসেরও জবাব দেননি তিনি। হাওড়া (সদর) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘শুনেছি সিভিক ভলান্টিয়াররা বিমান এবং তাঁর ভাইপোর সঙ্গে অশালীন ব্যবহার করেছিল। তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। হয়তো সেই কারণেই বিমান মাথা গরম করে ফেলেছিল। যদিও এটা করা তাঁর উচিত হয়নি।’’

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বিমানবাবু এবং তাঁর ভাইপোর বিরুদ্ধে পুলিশকে সরকারি কর্তব্যে বাধা এবং মারধরের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন