পুলিশ ফাঁড়ির শৌচাগারে দেহ

শনিবার বিকেলে হাওড়ার জয়পুরের ভাটোরা তদন্তকেন্দ্রের এই ঘটনায় মৃতের নাম বিভাস মণ্ডল (২৫)। এ দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। পুলিশ জানিয়েছে, শৌচাগারে রাখা অ্যাসিড খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৫০
Share:

নিথর: বাগনান হাসপাতালে বিভাসের দেহ। নিজস্ব চিত্র

এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের অভিযোগে তদন্ত কেন্দ্রে এক যুবককে জি়জ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই যুবক শৌচাগারে যান। তবে দীর্ঘক্ষণ সেখান থেকে না বেরনোয় সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর শৌচাগারের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ওই যুবকের দেহ।

Advertisement

শনিবার বিকেলে হাওড়ার জয়পুরের ভাটোরা তদন্তকেন্দ্রের এই ঘটনায় মৃতের নাম বিভাস মণ্ডল (২৫)। এ দিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। পুলিশ জানিয়েছে, শৌচাগারে রাখা অ্যাসিড খেয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক।

হাওড়ার জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকেন্দ্রের অফিসার বা পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌ়ড়িগ্রামের বাসিন্দা বিভাস পেশায় গাড়িচালক। তাঁর সঙ্গে চিৎনানের এক গৃহবধূর বেশ কয়েক মাস ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল। অশান্তির জেরে দিন দশেক আগে ওই মহিলা উত্তর ভাটোরার মণ্ডলপাড়ায় বাপের বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।

শনিবার বিকেলে বিভাস ওই মহিলার বাপের বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে হাজির হন মহিলার স্বামীও। দুপুর ১২টা নাগাদ ওই মহিলার স্বামী, বিভাসকে ধরে ফেলেন। তারপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বিভাসকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। তারপরে সকলে মিলে ওই যুবককে নিয়ে যান ভাটোরা তদন্তকেন্দ্রে।

পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর তিনটে নাগাদ যখন মহিলার স্বামী, বিভাসের নামে অভিযোগ দায়ের করার আলোচনা করছেন, তখন শৌচাগারে যাওয়ার অনুমতি চান বিভাস। ডিউটি অফিসারের ঘরের পাশেই ছিল শৌচাগারটি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পরেও শৌচাগার থেকে না বেরনোয় সন্দেহ হয় পুলিশের। দরজা ভেঙে দেখা যায়, শৌচাগারের মেঝেতে পড়ে বিভাসের দেহ। পাশে পড়ে রয়েছে শৌচাগার পরিষ্কার করার অ্যাসিডের বোতল।

এরপর পুলিশের তরফে থেকে বিভাসের পরিবারে খবর দেওয়া হয়। বিভাসের দিদি প্রিয়া মণ্ডল বলেন, ‘‘ভাইয়ের এমন সম্পর্কের কথা আমরা জানতাম না।’’ থানায় কী ভাবে ভাই অ্যাসিড খেল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁর দিদি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন