খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুয়ায়ী বিধিবদ্ধ রেশন দীর্ঘদিন ধরেই অমিল রাজ্যে। নিময়মাফিক পুর কর্তৃপক্ষ, পঞ্চায়েত বা বিডিও অফিসে এর জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। কিন্তু ওই সব দফতর আবেদন নেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জুটমিলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকেরা। এ ছাড়া সম্প্রতি চন্দননগর পুরসভায় মেয়র রাম চক্রবর্তীর কাছে তিনদফা দাবিতে স্মারকলিপিও জমা দেন কয়েকশো অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে, এক) পেনশনভোগী অবসরপ্রাপ্তদের বিধি মাফিক ৩৫ কেজি খাদ্যশস্য দিতে হবে। দুই) পুরসভায় জমা নেওয়া নথির প্রাপ্তিস্বীকার করতে হবে। ৩) দাবি আদায়ে সরব হলে বহু ক্ষেত্রে শ্রমিকদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ দিয়ে ভয় দেখান হচ্ছে। অবিলম্বে এ সব বন্ধ করতে হবে।
শ্রমিকদের আবেদনের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর রায় দিয়েছেন, পুরসভা বা স্থানীয় প্রশাসন শ্রমিকদের ওইসব আবেদন জমা নিতে বাধ্য থাকবে। পুরর্কতৃপক্ষের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, শ্রমিকদের আবেদন মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
চন্দননগর আইনি সহয়তা কেন্দ্র এই বিষয়ে নিখরচায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কেন্দ্রের কর্ণধার বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাস্তব পরিস্থিতি যা, তাতে বিধিবদ্ধ খাদ্যশস্য পাওয়া দূরের কথা আবেদনপত্র জমা নিতেই টালবাহানা করা হচ্ছে। শ্রমিকদের আবেদনের ভিত্তিতে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। এরপরই আইন না মানা হলে আমরা বিষয়টি ফের আদালতে জানাব। ’’