প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণ কিছুতেই কমছে না হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য বলছে, মাত্র দশ দিনে প্রায় ৫০০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ এই দশদিনে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে সিংহাভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, আক্রান্তের সংখ্যা কমানোর থেকে এখন বড় কাজ হল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
গত ৩০ মে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১০২৯ জন। ৯ জুন পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২৪। বেড়ে গিয়েছে অ্যাকটিভ করোনা পজিটিভের সংখ্যাও। ৩০ মে অ্যাকটিভ করোনা পজিটিভের সংখ্যা যেখানে ছিল ৫৬৫ জন। ৯ জন এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯২৬। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি রাখা হবে না। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধিদল জেলা পরিদর্শনে আসে। ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তাঁরা ফুলেশ্বরের করোনা হাসপাতালে যান। বাগনান-২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা খতিয়ে দেখেন। কথা বলেন আশাকর্মীদের সঙ্গেও।
হুগলির ভদ্রেশ্বরের গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধের করোনা ধরা পড়ে বৃহস্পতিবার। তাঁর লালরস পরীক্ষার রিপোর্ট এ দিনই আসে। ওই বৃদ্ধের সংষ্পর্শে যে সব চিকিৎসক ও নার্সেরা এসেছিলেন তাঁদের নিভৃতবাসে পাঠানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধ যে ঘরে ছিলেন সেই ঘরটিকে সিল করে স্যানিটাইজেশনের কাজ করা হচ্ছে। তারকেশ্বর দত্তপুর-আস্তারা গ্রামে মুম্বই ফেরত এক যুবকের করোনা ধরা পড়ায় তাঁর পরিবারের সবাইকে নিভৃতবাসে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে।