গুড়াপে গিয়ে দোষী পুলিশ কর্মীর শাস্তি চাইলেন লকেট

গত বুধবার রাতে গুড়াপের বাথানগোড়িয়া গ্রামে বিজেপি-র একটি বিজয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধে। বিজেপি সমথর্কদের অভিযোগ, তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুড়াপ শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০১৯ ০০:০৩
Share:

পাশে: জখম বিজেপি কর্মীর মাকে সান্তনা লকেটের। নিজস্ব চিত্র

হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় শনিবার দুপুরে গুড়াপে যান দলীয় দুই সমর্থকের বাড়িতে। দলের গুলিবিদ্ধ সমর্থক জয়চাঁদ মালিক ও প্রহৃত, অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম সমর্থক সাধন বাউল-দাসের বাড়িতেও তিনি এদিন যান। তাঁদের দু’জনের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে তিনি গুড়াপ থানায় গিয়ে তিনি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন।

Advertisement

গত বুধবার রাতে গুড়াপের বাথানগোড়িয়া গ্রামে বিজেপি-র একটি বিজয় উৎসবকে কেন্দ্র করে ঝামেলা বাধে। বিজেপি সমথর্কদের অভিযোগ, তাঁরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ায় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। সাধান বাউল-দাস নামে এক কর্মীকে টাঙ্গি দিয়ে কোপানো হয়। ওই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গ্রামের পথে রাতে রহনা দেয়। কিন্তু বাথানগোড়িয়ার আগে সাঁতুড় গ্রামে ঢোকার পথে একটি মোটর সাইকেল রাস্তায় রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাধে গ্রামবাসীদের। সেই সময় জয়চাঁদ মালিক নামে এক গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ বিনাপ্ররোচণায় গুলি চালায়। পাল্টা হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা অবশ্য গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,‘‘গ্রামবাসীরা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের রিভালবার ধরে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সেই সময় টানাটানিতে গুলি ছিটকে ওই গ্রামবাসীর গায়ে লাগে।’’

এদিন ওই গ্রামে গিয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ধনেখালিকে তৃণমূল ফের অশান্ত করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে কোনওভাবে নিজেদের দখলে রাখতে চাইছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই।’’ পুলিশের গুলি চালানোর প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ গুলি চালালে পুলিশ কী ছেড়ে দিত? তাই যে পুলিশ কর্মী গুলি চালিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।’’

Advertisement

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন