চুঁচুড়ায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলছেই

রাতে বাড়ি ঢুকে হামলা, খুনের হুমকি

দুষ্কৃতী তাণ্ডবের চিহ্ণ মুছে ফেলতে পারছে না শহরবাসী। হাসপাতাল কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার প্রতাপপুর এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৪২
Share:

তাণ্ডব: চুঁচুড়ার প্রতাপপুরে। নিজস্ব চিত্র

দুষ্কৃতী তাণ্ডবের চিহ্ণ মুছে ফেলতে পারছে না শহরবাসী। হাসপাতাল কর্মীর বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত মানুষ। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে চুঁচুড়ার প্রতাপপুর এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের ক্যান্টিন কর্মী চিরঞ্জিৎ চৌধুরীর বাড়িতে শনিবার রাত ২টো নাগাদ একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী হামলা চালায়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা চিরঞ্জিৎবাবুর বাড়ির দরজায় ধাক্কা মারে। ওই রাতে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন। দরজা না খোলায় দুষ্কৃতীরা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে জানালার কাচ ভেঙে দেয়। অভিযোগ এরপর দুষ্কৃতীরা ভাঙা কাচের ফাঁক দিয়ে রিভলবারের নল ঢুকিয়ে দরজা খোলার হুমকি দেয়। কোনও উপায় না দেখে চিরঞ্জিৎবাবুর স্ত্রী নমিতাদেবী দরজা খুলে দেন। তাঁদের প্রাণে না মারতে আকুতি জানান। দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে চিরঞ্জিৎবাবুর খোঁজে চারপাশ তল্লাশি চালায়। তাঁর জন্য বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ভোরের আলো ফোটার আগেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। নমিতাদেবী জানান, চলে যাওয়ার আগে দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়, তাঁর স্বামী যদি তাদের সঙ্গে দেখা না করে তা হলে যে কোনওদিন তাকে খুন করবে তারা। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর চিরঞ্জিতবাবুকে ফোনে জানানো হলে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। রবিবার সকালে তিনি থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে তী কারণে তাঁর বাড়িতে হামলা তা বুঝতে পারছেন চিরঞ্জিৎবাবু। দুষ্কৃতীদের হুমকির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কারা কেন আমার বাড়িতে হামলা করল তা জানি না। রাতে হাসপাতালে কাজে ছিলাম। মাঝরাতে বাড়ি থেকে ফোনে হামলার খবর জানানো হয়। পুলিশকে সব জানিয়েছি।’’

পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরে এই হামলা চালানো হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন