প্রতীকী ছবি।
চুঁচুড়ার পুরপ্রধান এবং স্থানীয় বিধায়ককে মোবাইলে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পুরসভার মহিলা কাউন্সিলর, বিধায়কের স্ত্রী-মেয়েকেও রেয়াত করা হয়নি বলে অভিযোগ। শুক্রবার এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ জানালেন চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার। বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে চন্দননগরের কমিশনার পীযূষ পাণ্ডেকে জানিয়েছেন।
তপনবাবুর অভিযোগ, ফোনে হুমকি এসএমএস আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। প্রথমে তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। ধীরে ধীরে খুনের হুমকি আসতে থাকে পুরসভার মহিলার কাউন্সিলরদের কাছেও। তখনই বিষয়টি পুলিশে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দলের সংখ্যা লঘু সেলের নেতা মির্জা সানোয়ার আলিও এমন হুমকি-এসএমএস নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। দিন কয়েক আগে পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়ও একই অভিযোগ জানিয়েছেন। পুরপ্রধানের কথায়, ‘‘পুলিশ তদন্তে কিছুই পায়নি। এখন তো বিধায়ক অভিযোগ জানিয়েছেন। দেখা যাক কী হয়।’’
তবে এই হুমকি-এসএমএসে তৃণমূলেরই গোষ্ঠীকোন্দলের ছায়া দেখছেন বিরোধীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাম নেতার কথায়, ‘‘ও সবের মধ্যে অন্য কেউ নেই। ওদের নিজেদের অন্দরেই কার সঙ্গে কার বেঁধেছে। এখন হুমকিতে সে গায়ের ঝাল মেটাচ্ছে।’’ বিধায়ক তপনবাবু অবশ্য সে কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘চুঁচুড়ায় যারা উন্নয়ন, শান্তি চায় না, তারা এইসবে যুক্ত। আমাদের এ সবে দমানো যাবে না।’’