গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শাসকদলের এক নেতাকে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল ওই দলেরই এক পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে।
শনিবার রাতে খানাকুলের নবীনচক গ্রামের বিভাস মালিক নামে প্রহৃত ওই তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্যকে পুলিশই উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করায়। তাঁর উপরে হামলায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় চিংড়া পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক ইশর। অভিযোগ উড়িয়ে কার্তিকবাবুর দাবি, হামলার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় কার্তিক ইশর-সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের নাম সুকুমার হাজরা, উত্তম হাজরা, টুটুন মাজি এবং অমর কোলে। ধৃতদের সোমবার আরামবাগ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ নবীনচক গ্রামে তৃণমূলের ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসা থেকে মারপিট শুরু হয়। বিভাসবাবুর অভিযোগ, “নবীনচকে বন্যা পরবর্তী এলাকা পুনর্গঠনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাড়ি ফেরার সময় কার্তিক ইশরের নেতৃত্বে আমার উপরে হামলা হয়।’’
পক্ষান্তরে, কার্তিকবাবুর দাবি, ‘‘শুনেছি বিভাসবাবু গ্রামে লোকজন নিয়ে অশান্তি বাধাবার চেষ্টা করায় গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ করেন।” দলের দুই নেতার এই দ্বন্দ্ব নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।