আলোচনা: চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের হুগলি জেলা নেতৃত্ব, শেষ পর্যন্ত খানাকুলে সাংগঠনিক স্তরে ক্ষোভ ধামাচাপা দিতে কর্মাধ্যক্ষ করলেন সেখান থেকে জয়ী এক সদস্যকে। বুধবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতিগুলি গঠন করা হয়। জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত থেকে সমস্ত সমিতির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন এ দিন। চাপা ক্ষোভ থাকলেও, এ দিন স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে সমস্যা হয়নি।
সম্প্রতি কলকাতায় জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বেছে নিতে জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের উপস্থিতিতে দলীয় স্তরে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের দিনই হুমকি দিয়েছিলেন খানাকুল থেকে জিতে আসা শাসকদলের সদস্য নাজিমুল মুন্সি করিম। এমনকী অনুগামীদের নিয়ে তিনি দল ছাড়ার কথাও সেদিন বলেছিলেন। তাঁর হুমকি যে নেহাত কথার কথা ছিল না, তা স্পষ্ট হল বুধবার জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনে। প্রাথমিকভাবে জেলা পরিষদে কর্মাধ্যক্ষের পদ তিনি পাননি। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব খানাকুলে সংগঠনে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে এ দিন তাঁকে বিদ্যুৎ দফতরের দায়িত্ব দেন। সিঙ্গুর থেকে জেলা পরিষদে জেতা মানিক দাস এ বার প্রাথমিকভাবে কর্মাধ্যক্ষের দলীয় তালিকায় ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে সরিয়ে নাজিমুলকে কর্মাধ্যক্ষ করেন। মানিকবাবুকে অবশ্য দলনেতার পদ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন নেতারা।
জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ বাছতে এ বার প্রথম থেকেই জেরবার হন নেতারা। হুগলিতে জেলা পরিষদ এ বারই প্রথম বিরোধী শূন্য। কিন্তু তাঁর সদস্যদের বেছে নিতেই নাজেহাল নেতারা। এই নিয়ে অবশ্য বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘সন্ত্রাসের আবহে এ বার হুগলিতে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে বলে আমি মনে করি না। তাতেই শাসকদের কাজ শুরু করতে ঝগড়ায় লেগে গেল সাত মাস। তবে এই শুরু। এখনও অনেকটাই বাকি।’’