শাসক দলের শিক্ষা সেলের সম্মেলন বলে কথা। সেই ‘উপলক্ষে’ শনিবার ছুটি রইল হুগলির ধনেখালি ব্লকের একাধিক প্রাথমিক স্কুল। স্কুলে এসে ফিরে যেতে হল পড়ুয়াদের। যে সব স্কুল খোলা ছিল, তার অধিকাংশতেই শিক্ষকের অভাবে নমো নমো করে ক্লাস হল। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী অসীমা পাত্রের উপস্থিতিতে সম্মেলনস্থল অবশ্য ভর্তিই ছিল।
এ দিন ধনেখালি, ধনেখালি পশ্চিম এবং গুড়াপ সার্কেলের প্রাথমিক স্কুলের তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের সম্মেলন ছিল। গুড়াপে ওই কর্মসূচিতে মন্ত্রী অসীমা পাত্র ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী এবং ধনেখালি ব্লকের একাধিক নেতা। বেলা ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য অনেক স্কুলেই শিক্ষক মেলেনি। এ ব্যাপারে শিক্ষকেরা প্রকাশ্যে মুখ খলতে চাননি। সংগঠনের ব্লক সম্পাদক মহম্মদ হানিফের অবশ্য দাবি, ‘‘সম্মেলনের জন্য কোনও স্কুল বন্ধ ছিল না। প্রতিটি স্কুল থেকে এক জন শিক্ষককে ডাকা হয়েছিল। স্কুল ছুটির পরে সব শিক্ষকেরা এসে যোগ দেন। স্কুল বন্ধের খবর আসলে রটনা।’’
শিক্ষক-নেতারা যাই বলুন, সম্মেলনের জন্য ক্লাস না হওয়ায় অভিভাবকদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। স্কুল খোলা রয়েছে, এমন দিনে এই ধরণের কর্মসূচির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। ছোট খাঁপুর, ফতেপুর, অভিরামপুর, আচিলপুর গৌরমোহন—প্রভৃতি স্কুলের অভিভাবকদের প্রশ্ন, ছুটির দিনে এই কর্মসূচি করলে এমনকী ক্ষতি হতো? জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এমনিতেই শনিবার স্কুল হাফ ছুটি থাকে। তাই এ দিন ক্লাস বন্ধ রাখার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিলাম। এতে দোষের কোথায়।’’