প্রৌঢ়কে খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতেরা হলেন তাপস হালদার, বিশ্বজিৎ মিস্ত্রী এবং ভোলা বিশ্বাস। তাঁদের বাড়ি চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে। ধৃতদের সোমবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকালে চুঁচুড়ার বেনাভাড়ুই এলাকার আমবাগান থেকে জগন্নাথ হালদার (৫০) নামে ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। সুকান্তনগরের বাসিন্দা জগন্নাথবাবুর মাথায় আঘাতের চিহ্ণ ছিল। পুলিশের অনুমান, ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত তাপস হালদার জানিয়েছেন, গত শুক্রবার তাঁর মানসিক প্রতিবন্ধী বোনের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করেন জগন্নাথবাবু। এর বদলা নিতে তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা করেন তাপসবাবু। জগন্নাথবাবুর উপর নজরদারি শুরু হয়। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরোতেই তাঁকে মদ খাওয়ানোর আশ্বাস দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে মদ খাইয়ে ভারী কিছু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়। এলাকায় যাতে ঘটনার কোনও প্রভাব না পড়ে সে জন্য মৃতদেহটি কোদালিয়া ১ পঞ্চায়েত এলাকার বেনাভাড়ুই-এর এক আমবাগানে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রণজিৎ মণ্ডলের খোঁজ চলছে।