গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার তেমন জোরদার না হলেও পরিবর্তনের হাওয়া জোর ভরসা দিয়েছিল। এ বার সেই হাওয়া থেমে গিয়েছে। উল্টে সারদা, নারদ-হুলের জ্বালার পাশাপাশি হাত-কাস্তের জোটের আঘাতের আশঙ্কা করে বুথ ধরে ধরে ‘আঁটোসাটো’ প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। আরামবাগের সালেপুর ২ অঞ্চলে অনন্ত এমনটাই বলছেন ভোটাররা। ডোঙ্গলের এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘অবিকল আগের সিপিএমের ধাঁচে প্রচার চালাচ্ছে তৃণমূল। বার বার নোটবই আর কলম নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছে। পরিবারের প্রাপ্তবয়স্কদের সঙ্গে জনে জনে কথা বলে কি লিখছে তারাই জানে। চলে যাওয়ার সময় বলে যাচ্ছে, ‘নিজের ভোট নিজে দিন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি’।
এই সঙ্গে থাকার গল্পতেই সিঁদুরের মেঘ দেখতে শুরু করছেন অনেকে। অঞ্চলেরই রাঙতাখালি গ্রামের এক গৃহবধূর বক্তব্য, “প্রায়ই তৃণমূলের ছেলেরা আসছে। গ্রামের এবং ব্যাক্তিগত সমস্যা-অসুবিধার কথা বারবার জানতে চাইছে। সে সব আবার খাতায় লিখছে। এটা তো একরকম অত্যাচার-ভীতি প্রদর্শন।” অনেকেরই আশঙ্কা, তৃণমূল পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের বক্তব্য ধরেই কারা অন্য জায়গায় ভোট দিতে পারেন তা আঁচ করে তালিকা করছে দল।
সালেপুর ২ অঞ্চলের তৃণমূল নেতা তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য ও সরবরাহ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ কমল কুশারী অবশ্য এ সব মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “এ বার আমাদের প্রচার আঁটোসাটো। প্রতিটা বাড়িতে বার বার যাচ্ছি। এলাকায় প্রভূত উন্নয়ন সত্তেও আরও কী দরকার, কোনও ঘাটতি বা অভিযোগ আছে কি না জানার চেষ্টা করছি। বিরোধীরা আমাদের এই জনসংযোগ নিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভীতিসঞ্চারের কথা বলছে।”