প্রতীকী ছবি।
বালি স্টেশনে ছাত্রীর গলায় ব্লেড চালানোর ঘটনায় ধরা পড়ল অভিযুক্ত যুবক। ধৃতের নাম ধর্মেন্দ্র গুপ্ত। সোমবার তাকে ডানকুনি স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছেন বেলুড় জিআরপি-র তদন্তকারীরা।
হাওড়ার রেল পুলিশ সুপার নীলাদ্রি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিভিন্ন সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় ওই যুবককে আমরা গ্রেফতার করেছি।’’ রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ধর্মেন্দ্র জেরায় দাবি করেছে, প্রেম প্রত্যাখ্যাত হওয়াতেই সে ওই ছাত্রীর গলায় ব্লেড চালিয়েছিল। ২৫ জুলাই দুপুরে বালি স্টেশনের কর্ড শাখার পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে বচসার সময়ে তার গলায় আঘাত করেছিল ধর্মেন্দ্র। ঘটনার পরে সে সাইকেল নিয়ে বেলানগর স্টেশনের দিকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেখানে এক পরিচিতের কাছে সাইকেল রেখে ট্রেন ধরে হাওড়া গিয়ে সেখান থেকে মুম্বই চলে যায় সে।
হুগলির বেলেডাঙার বাসিন্দা ওই যুবক অনেক দিন ধরেই ডানকুনির বাসিন্দা ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রীর পরিজনেরা। বেলুড় জিআরপি-র ওসি বিকাশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল জানতে পারে, ধর্মেন্দ্রের মোবাইল বন্ধ। তখন তার বাবাকে আটক করতেই জানা যায়, সে মুম্বইয়ে দিদির বাড়িতে পালিয়েছে। এর পরেই তাকে ধরতে ফাঁদ পাতে পুলিশ।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে এলাকায় রটিয়ে দেওয়া হয় তাঁরা কোনও মামলা করছেন না। অন্য দিকে, দিদির বাড়ি পৌঁছতেই সেখান থেকে ধর্মেন্দ্রকে জানানো হয়, মামলা দায়ের না হলেও বাবাকে আটকে রেখেছে পুলিশ। এ সব শোনার পরেই ফের কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় ওই যুবক। এ দিকে, ধর্মেন্দ্রর পরিজনদের থেকে সময় মতো খবর পেয়ে তার উপরে নজর রাখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই মতো সোমবার হাওড়া স্টেশনে নেমে লোকাল ট্রেনে ডানকুনি পৌঁছতেই তাকে ধরে জিআরপি। পুলিশি জেরায় ধর্মেন্দ্র দাবি করেছে, তিন বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি কিশোরী সেই সম্পর্কের কথা অস্বীকার করায় ওই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।