দেখতে দেখতে ২৩ দিন পেরিয়ে গেল। কিন্তু আমতায় কিশোরী খুনের ঘটনার এখনও কোনও কিনারা করতে পারল না পুলিশ। জানা গেল না নিহতের পরিচয়ও। সেই সন্ধানে পুলিশ এখন হন্যে হয়ে ঘুরছে। এখনও পর্যন্ত ওই খুনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে একটি বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার এক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে, বিস্তর জেরার পরেও ধৃতের কাছ থেকে কার্যত কোনও তথ্যই জানতে পারেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশের এক কর্তা স্বীকার করেছেন, ওই কিশোরীর পরিচয় না জানা গেলে তদন্তে কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “ধৃত পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় কখনও খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা কবুল করেছে। আবার কখনও বলেছে, সে সরাসরি জড়িত না থাকলেও যারা খুন করেছে, তাদের সে দেখেছে। দু’রকম কথা বলার জন্য আমরা কোনও প্রামাণ্য সিদ্ধান্তে আসতে পারছি না। তাকে আর পুলিশ হেফাজতে রাখারও প্রয়োজন মনে করিনি। সে এখন জেল-হাজতেই রয়েছে।”
গত ১৭ অগস্ট রাতে বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর দেহ মেলে পাত্রপোলের কাছে, একটি বেসরকারি বিএড কলেজের সামনে থেকে। কলেজের পক্ষ থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তার মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়, ওই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। তার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। কয়েক দিন পরে গ্রেফতার করা হয় কলেজের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার ওই কর্মীকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ওই নিরাপত্তা সংস্থার কর্মীর কথাবার্তায় বিস্তর ফাঁক ছিল। সেই কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ তাকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। জেলা পুলিশের ওই কর্তা জানান, কিশোরীর পরিচয় জানতে পারলে ধৃতের সঙ্গে ওই খুনের ঘটনার যোগ কতটা আছে, সে বিষয়ে সুনিশ্চিত হওয়া যাবে। কিশোরীর পরিচয় জানতে না পারার জন্যও ধৃত তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার সুযোগ পাচ্ছে।