কারখানা থেকে বিকট আওয়াজ, চিড় বাড়িতে

এলাকার জাহাজ মেরামতির কারখানায় কাজ চলাকালীন বিকট শব্দে জাহাজের খোলের একটি ইস্পাতের ভারী অংশ গঙ্গার পাড়ে পড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কেঁপে উঠেছিল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম। কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিয়েই কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ চালাচ্ছেন, এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বন্ধ হয়ে যায় কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৪৫
Share:

এলাকার জাহাজ মেরামতির কারখানায় কাজ চলাকালীন বিকট শব্দে জাহাজের খোলের একটি ইস্পাতের ভারী অংশ গঙ্গার পাড়ে পড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে কেঁপে উঠেছিল হাওড়ার সাঁকরাইল থানার দক্ষিণ সাঁকরাইল গ্রাম। কিছু বাড়িতে ফাটল ধরে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিয়েই কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ চালাচ্ছেন, এই অভিযোগে গ্রামবাসীরা সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বন্ধ হয়ে যায় কাজ। শুক্রবারও তা চালু হয়নি। তবে, এ দিন দু’পক্ষের বৈঠক হয়। আজ, শনিবার থেকে কারখানা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক ইন্তিখাব আলম।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গার পাড়ে ওই বেসরকারি কারখানাটি বেশ কয়েক বছরের পুরনো। গ্রামটিও গঙ্গা লাগোয়া। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে বেলা ১২টা নাগাদ। বাড়িঘর কাঁপতে দেখে গ্রামবাসীরা ভাবেন ভূমিকম্প হচ্ছে। তাঁরা বেরিয়ে পড়েন। দেখেন, কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। গঙ্গার পাড়ে পড়ে রয়েছে জাহাজের খোলের ইস্পাতের অংশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ওই কারখানায় হাজির হন। সেখানে তখন কাজ করছিলেন শ’দেড়েক শ্রমিক। দু’পক্ষে বচসা বাধে।

গ্রামবাসীদের দাবি, অন্তত ৫০টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। সেই দাবি উড়িয়ে কারখানার মালিক ইন্তিখাব আলম বলেন, “শ্রমিকেরা কাজ করার সময়ে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু থেকে ইস্পাতের যে অংশটি পড়েছে, তার ওজন এক টনের বেশি নয়। তাতে দু’একটি বাড়িতে ফাটল ধরতে পারে। শুক্রবারের বৈঠকে গ্রামবাসীরা কিছু শর্ত দিয়েছেন। তা মানা যায় কিনা, ভেবে দেখা হচ্ছে। শনিবার কারখানা খুলবে।”

Advertisement

বিদ্যুৎ সংযোগের নির্দেশ। পুলিশি প্রহরায় হুগলির দাদপুরের এক গ্রামবাসীকে তাঁর সাব-মার্সিবল পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কালীপদ রায় নামে ওই গ্রামবাসীর আবেদনমতো রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এক পদস্থ কর্তা গত অগস্ট মাসে ওই সংযোগ দিতে গেলে কয়েক জন দুষ্কৃতী তাঁর উপর চড়াও হয়। কাজ বন্ধ রেখে দাদপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই কর্তা। বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে কালীপদবাবু কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন