থানার অদূরে সোনার দোকানে চুরি

থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের একটি গয়নার দোকানের তাল‌া ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকার সোনা, রুপো এবং হিরের গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। নতুন বছরের প্রথম রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে না পারায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তারকেশ্বর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:১২
Share:

থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের একটি গয়নার দোকানের তাল‌া ভেঙে কয়েক লক্ষ টাকার সোনা, রুপো এবং হিরের গয়না নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। নতুন বছরের প্রথম রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বরে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে না পারায় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। এসডিপিও (চন্দননগর) দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

ওই দোকানের মালিক প্রশান্ত চক্রবর্তী অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘের তারকেশ্বর শাখার যুগ্ম সম্পাদক। তাঁর বাড়ি তারকেশ্বরেরই বাজিতপুরে। গত বুধবার রাতে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় দোকান খোলেননি। শুক্রবার সকালে বাসিন্দারা দেখেন, দোকানের পিছনের দরজা ভাঙা। তাঁরাই প্রশান্তবাবুর বাড়িতে খবর দেন। পুলিশ আসে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রথমে দোকানের পিছন দিকের কোলাপসিবল গেট, তার পরে কাঠের দরজা এবং আরও একটি কোলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। তার পরে গ্যাস কাটার দিয়ে সিন্দুক কেটে ফেলে। সেই সিন্দুকের এবং শোকেসের সোনা, রুপো এবং হিরের গয়না ছাড়াও নানা রকম পাথর হাতিয়ে চম্পট দেয় তারা।

Advertisement

প্রশান্তবাবু বলেন, ‘‘দোকান প্রায় খালি করে নিয়ে গিয়েছে। এর আগেও তারকেশ্বরে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ আমাদের নিরাপত্তার উপযুক্ত ব্যবস্থা করুক। দোষীদের গ্রেফতার করে সমস্ত গয়না উদ্ধার করুক।” তারকেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

স্বভাবতই থানার কাছেই এমন বেপরোয়া চুরিতে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে অন্য জায়গা কতটা নিরাপদ? দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্বর্ণকার সংগঠনটির তারকেশ্বর শাখার অপর যুগ্ম সম্পাদক শ্যামলকুমার জানার ক্ষোভ, ‘‘কোথায় নিরাপত্তা! পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক। এ ভাবে কি ব্যবসা করা যায়?’’ তারকেশ্বর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অমরনাথ পাল বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ব্যাবসায়ীদের পক্ষে আতঙ্কের। আমরা পুলিশকে এ ব্যাপারে জানিয়েছি,’’ জেলা পুলিশের এক কর্তার আশ্বাস, ‘‘তারকেশ্বরে এই ধরনের ঘটনা আটকাতে পুলিশি ব্যবস্থা আরও জোরদার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন