অটোরিকশা উল্টে মৃত্যু হল এক আরোহীর। আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ডোমজুড়ে। মৃতের নাম তুষার ধক (১৭)। বাড়ি জগত্বল্লভপুরের পাতিহাল গ্রামে। পাশাপাশি চোখের সামনে দুর্ঘটনা ঘটতে দেখে কাছেই মোটর ভ্যানে চেপে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া তিন পরীক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যায়। তাদের ডোমজুড় গ্রামীম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একজনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি দুই পরীক্ষার্থী হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অটোরিকশাটি ছিল মুন্সিরহাট-ডোমজুড় রুটের। হাওড়া-আমতা রোড ধরে যাত্রীবোঝাই হয়ে সেটি যাচ্ছিল ডোমজুড়ে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মতিঝিলের কাছে এক সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে অটোর চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। সেটি রাস্তার ধারে খালে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তুষার। আহত ছয় যাত্রীকে ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য তিনজনকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ দিকে, দুর্ঘটনার সময়েই সেখান দিয়ে একটি মোটর ভ্যানে চেপে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল সুতপা সাঁতরা, মৌমিতা ধাড়া এবং সীমা দাস। তিনজনেরই পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ডোমজুড়ের নেহরু বালিকা বিদ্যালয়। চোখের সামনে দুর্ঘটনায় একজনকে মারা যেতে দেখে তিনজনেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্ঞান হারায়। স্থানীয় লোকজনই তাদের ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সীমাকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হলে সে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেয়। কিন্তু সুতপা এবং মৌমিতার জন্য হাসপাতালের একটি ঘরে পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা হয়।
জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) তাপস বিশ্বাস বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকই ওই দুই ছাত্রীর হাসপাতালে পরীক্ষা দেওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। পুলিশ পাহারাও ব্যবস্থা করা হয়।”