ফের শুনানি শুরু, এখনও মেলেনি ফরেন্সিক রিপোর্ট

নির্যাতিতাদের ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলায় মাস দেড়েক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ কাণ্ডের শুনানি। মঙ্গলবার আমতা আদালতে ফের সেই মামলার শুনানি শুরু হল। কিন্তু এখনও রিপোর্ট মেলেনি। ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলায় এ দিন আদালতে উপস্থিত এক নির্যাতিতাকে প্রথমে জেরা করতে চাননি অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত। পরে তিনি জেরা করলেও ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলার বিষয়টি উল্লেখ করলে বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরী পুলিশের কাছে জানতে চান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:০১
Share:

নির্যাতিতাদের ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলায় মাস দেড়েক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ কাণ্ডের শুনানি। মঙ্গলবার আমতা আদালতে ফের সেই মামলার শুনানি শুরু হল। কিন্তু এখনও রিপোর্ট মেলেনি।

Advertisement

ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলায় এ দিন আদালতে উপস্থিত এক নির্যাতিতাকে প্রথমে জেরা করতে চাননি অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত। পরে তিনি জেরা করলেও ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলার বিষয়টি উল্লেখ করলে বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরী পুলিশের কাছে জানতে চান। জেলা পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা বাকি। চলতি মাসের মধ্যেই ওই রিপোর্ট জমা পড়ে যাবে।

ট্রান্সফর্মার থেকে বিদ্যুত্‌ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে জনা দশেক দুষ্কৃতী মুক্তিরচকের এক বধূ এবং তাঁর জেঠশাশুড়িকে গণধর্ষণ এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা বরুণ মাখাল এবং রঞ্জিত মণ্ডল-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বরুণ-সহ ছয় অভিযুক্ত বর্তমানে জামিনে রয়েছে। আদালতে চার্জশিটও দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সরকারি কৌঁসুলির অভাবে মামলাটির শুনানি কয়েক দফা পিছনোয় সমালোচনা হয়। শেষমেশ গত বছরের শেষ দিকে সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে সিদ্ধার্থ মজুমদারকে নিয়োগ করা হয়। শুরু হয় শুনানি।

Advertisement

নির্যাতিতারাই প্রথম দিকে সাক্ষ্য দেন। শেষবার শুনানি হয়েছিল গত ১৬ ডিসেম্বর। সে দিন নির্যাতিতা জেঠশাশুড়িকে জেরা করেছিলেন অভিযুক্তদের আইনজীবীরা। কিন্তু ফরেন্সিক রিপোর্ট না মেলায় সে দিন শুনানি অসমাপ্ত ছিল। এ দিনও সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন ওই জেঠশাশুড়ি। এ দিনও শুনানি অসমাপ্ত থাকে তিনি শেষ দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ায়।

এ দিন অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমলবাবু ওই মহিলাকে জেরায় জানতে চান, ঘটনার পরে তিনি অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশকে যাদের নাম জানিয়েছিলেন, তাদের সকলের কথা চিকিত্‌সককে না জানিয়ে কেন তিন জনের নাম বলেছিলেন। নির্যাতিতা দাবি করেন, তিনি সকলের নামই বলেছিলেন। এর পরে বিমলবাবু নির্যাতিতার কাছে জানতে চান, হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল কিনা। নির্যাতিতার দাবি, কোনও রাজনৈতিক দলের কেউ দেখা করতে যাননি। শুধুমাত্র তাঁর পরিবারের লোকেরাই দেখা করেন। বিমলবাবুর জিজ্ঞাসা, কোন ঘরে অভিযুক্তেরা আগে ঢুকেছিল? উত্তরে নির্যাতিতা জানান, দু’টি ঘরে অভিযুক্তেরা একই সঙ্গে ঢোকে। এর পরে নির্যাতিতার বাড়ির চারপাশে কী রয়েছে, এ সব জানতে চান বিমলবাবু। নির্যাতিতা উত্তর দেন। পরে এজলাসে অসুস্থ বোধ করায় শুনানি স্থগিত করে দেন বিচারক। নির্যাতিতা বাড়ি ফিরে যান। আজ, বুধবারও ওই মহিলাকে ফের জেরা করা হবে। এ দফায় শুনানি একটানা ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে আইনজীবীরা জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement