প্রতীকী ছবি।
সনিয়া গাঁধী, পি চিদম্বরম, লালুপ্রসাদ থেকে মায়াবতী— বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বেছে বেছে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। বেআইনি লগ্নি সংস্থা থেকে নারদ কাণ্ডের তদন্তেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলকে নতুন অস্ত্রে ঘায়েল করতে নামল বিজেপি। এ বার তাদের অস্ত্র দলের তহবিল ও খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলকে আয়কর দফতরের শো-কজ নোটিস।
মোদী সরকারের মন্ত্রী পীযূষ গয়াল আজ সন্ধ্যায় বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দিদির কেন এত ‘যন্ত্রণা’ হয়েছিল, তা বোঝা যাচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য ব্যবহার করা ২৪ কোটি টাকার কোনও হিসেব তৃণমূল নির্বাচন কমিশন কিংবা আয়কর দফতরকে দেয়নি। এর মধ্যে ১৫ কোটি টাকার বেশি তারা খরচ করেছে হেলিকপ্টার ভাড়া করতে, ২ কোটি টাকা পতাকা ও বাকি কিছু খরচ প্রচারের জন্য। এই টাকা কোথা এল, তা জানতে আয়কর দফতর নোটিস দিয়েছে তৃণমূলকে। পীযূষের মতে, কারও থেকে টাকা নিলে তা জানাতে হয়। এমনকী কেউ বিনা পয়সায় হেলিকপ্টার দিলেও। একেও চাঁদা হিসেবে ধরা হয়। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচার ও ওই আর্থিক বছরে হেলিকপ্টারের খরচকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
অভিযোগের জবাব দিতে এতটুকুও সময় নেয়নি তৃণমূল। দলের তরফে ডেরেক ও’ব্রায়েন গয়ালকে পাল্টা আক্রমণ করে বলেন, ‘‘আর্থিক ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মানা ও আদেশ পালনের ব্যাপারে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ তৃণমূল নির্বাচন কমিশনকে সব হিসেব দিয়ে দিয়েছে। আয়কর দফতর যা জানতে চেয়েছিল, তার জবাবও দেওয়া হয়েছে।’’ ডেরেকের মতে, তৃণমূল এ সব কিছু মেনে চলার জন্যই জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির মন্ত্রীরা ঘর সামলানোর দিকে নজর দিন।’’ বিরোধী শিবিরের প্রায় সব দলই মমতার পাশে দাঁড়িয়েছে। কংগ্রেস, জেডিইউ একে মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসেবে তুলে ধরেছে। কেউ বলেছেন, কৃষকদের উপর গুলি চালানোর অস্বস্তি কাটাতেই এ সব করছে বিজেপি।