—নিজস্ব চিত্র।
উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে মৌলবাদকে প্রতিহত করার পক্ষে সওয়াল করলেন বুদ্ধিজীবীরা। সম্প্রতি কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এ আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা আন্তঃরাষ্ট্র সমস্যার বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থিত পাকিস্তানের বিশিষ্ট লেখক বাবর আইয়াস নিজের দেশের রাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে বলেন, ‘‘সেখানে সন্ত্রাস ও মৌলবাদ হাত ধরাধরি করে চলেছে।’’ পাকিস্তানের মানুষদের ভারত-বিদ্বেষী মনোভাবের বিভিন্ন কারণগুলির দিকেও আলোকপাত করেন বাবর। লাহৌর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রাবেয়া জাহাঙ্গির রাজপুতের গলাতেও একই সুর। পাকিস্তানে সাধারণ মানুষ ও মেয়েদের অবস্থা বোঝাতে গিয়ে রাবেয়ার বক্তব্য শুনতে শুনতে যেন ‘বোল’ সিনেমার গল্পকেই মনে করায়।
‘কমিটি ফর আপহোল্ডিং সেকুলারিজম’ আয়োজিত ওই সভায় বাংলাদেশের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক মুনতাসির মামুনের কথায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধ, ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক অবদান ও সাম্প্রতিক কালে মোদী-মমতার বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিভিন্ন কথা। ছিটমহল সমস্যার দ্রুত সমাধানের আর্জিও জানান তিনি। ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাদের চৌধুরী মৌলবাদ ও রাষ্ট্রীয় সমস্যার বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। সভায় উপস্থিত কবি সুবোধ সরকারের কথায় মূলত প্রধান্য পায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়টি।
সভার অন্যতম উদ্যোক্তা অধ্যাপিকা সৈয়দ তনভির নসরিন-সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীরা ভিসা পাওয়ার বিষয়টি আরও সরল করার বিষয়েও সওয়াল করেন।