আর কী বললেন মমতা? —ফাইল চিত্র।
সিএএ (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন), এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি)-র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে সংখ্যালঘুদের বার্তা দিতে চাইলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ থেকে যে জনপদে হিংসার আগুন জ্বলেছিল এক মাস আগে, মুর্শিদাবাদের সেই সুতিতে দাঁড়িয়ে তিনি এই বার্তা দিলেন।
হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে মঙ্গলবার ধুলিয়ানের বিডিও অফিসে দেখা করেন মমতা। তার পর সুতিতে তাঁর প্রশাসনিক সভা ছিল। সেই সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন করতে হলে দিল্লিতে যান। এখানে নয়। এটা নিয়ে গোলাগুলি করবেন না। করলে সবচেয়ে বড় শত্রু আমি হব।’’ এর পরেই সংখ্যালঘুদের উদ্দেশে অভয় দিয়ে মমতা বলেন, ‘‘যদি কেউ অধিকার কেড়ে নেয়, তা রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। মনে নেই সিএএ, এনআরসির কথা? রাস্তায় নেমেছিলাম তো? এখানে কারও সম্পত্তি কাড়তে দেব না। আমার উপর আপনারা ছেড়ে দিন। আপনারা সম্প্রীতি বজায় রাখুন।’’ হিংসার আগুন যে সবাইকে ‘খাক’ করে দেয়, তা-ও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘মনে রাখবেন, দাঙ্গা মানে মানুষের বাড়ি পোড়ে, রক্ত ঝরে। আমি দাঙ্গার পক্ষে নই, মানুষের পক্ষে।’’
বিজেপির কর্মকাণ্ডের বিষয়েও সতর্ক করান মমতা। তাঁর কথায়, “বিজেপি কিংবা কোনও মৌলবাদী সংগঠনের কথা শুনে প্ররোচিত হবেন না। আপনারা নিজেরা ভাগ হওয়ার থেকে আমার গলাটা দেহ থেকে ভাগ করে দিন। তাতে আমি খুশি হব।” তাঁর কথায়, “আমি সব ধর্মকে ভালবাসি। হিংসা ছড়াতে এলে মা-বোনেরা তা রুখবেন।”
মুর্শিদাবাদে নতুন মহকুমা গঠনের ঘোষণাও করেছেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন সুতি, ধুলিয়ান এবং ফরাক্কার মানুষদের জন্য নতুন মহকুমা গঠন করা হচ্ছে।