Babita Sarkar

স্কুলে চাকরি হারানোর পর ববিতাকে কত টাকা ফেরত দিতে হবে? কী নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের?

রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি অতীতে বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। এ বার সেই চাকরি হারালেন শিলিগুড়ির ববিতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ ১২:৪৬
Share:

চাকরি হারানোর পর ভেঙে পড়লেন ববিতা সরকার। ফাইল চিত্র।

চাকরি হারালেন ববিতা সরকারও। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার চাকরি অতীতে বাতিল করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। এ বার ববিতার চাকরিই বাতিল করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাই নয়, চাকরির টাকাও ফেরত দিতে ববিতাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisement

দুর্নীতি না ভুল, কিসের জন্য চাকরি হারাতে হল ববিতা সরকারকে?

ফলাফল দেখুন

আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বুধবারের মধ্যে তাঁকে ১১ লক্ষ টাকা দিতে হবে। তবে এত দিনে চাকরির জন্য যে বেতন পেয়েছেন ববিতা, সেই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে না। অঙ্কিতার চাকরি যাওয়ার পর তাঁর টাকা বিভিন্ন কিস্তিতে ববিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ মতো যে টাকা পেয়েছিলেন ববিতা, সেই টাকা ফেরত দিতে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতাকে মোট ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা ফেরত দিতে হবে।

Advertisement

এই নির্দেশ পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছেন ববিতা। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ১১ লক্ষ টাকা দিতে পারবেন। বাকি টাকা ফেরতের জন্য ৩ মাস সময় চেয়েছেন তিনি। একটি গাড়িও কিনেছেন বলে জানান ববিতা।

ববিতার চাকরি পাচ্ছেন অনামিকা রায়। ববিতার সমস্ত টাকা জমা দেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সেই টাকা দেবেন অনামিকাকে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ববিতা অংশ নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।

শিলিগুড়ির ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরই শহরের আর এক এসএসসি পরীক্ষার্থী অনামিকা। অভিযোগ ছিল, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতক স্তরের শতকরা নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। যার ফলে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ বেড়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরি হয় যাবতীয় জটিলতা। এই নিয়ে মামলাতেই ববিতার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন