TMC

যোগদান পর্ব অব্যাহত তৃণমূলে, ঘাসফুলে এলেন জ্যোতিপ্রকাশ, নীলাঞ্জনারা

বুধবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:৫৭
Share:

ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় ও নীলাঞ্জনা মজুমদার। —নিজস্ব চিত্র

সামনেই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তৃণমূলে যোগ দিলেন আইনজীবী জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় ও টলিউড অভিনেত্রী নীলাঞ্জনা মজুমদার। বুধবার তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

জ্যোতিপ্রকাশ দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। তৃণমূলের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে নারদা মামলায় প্রতিনিধিত্বও করেছিলেন তিনি। তৃণমূলে যোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি হচ্ছে ভারতীয় জুমলা পার্টি। বাংলাকে বাঁচানোর জন্য এই দলটাকে তাড়াতে হবে। আর সেটা পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর হাত শক্ত করতে আমরা তৃণমূলে এসেছি।’’

নীলাঞ্জনা অভিনেত্রী, মডেল ও সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, ‘‘দিদির আদর্শে আমি অনুপ্রাণিত। স্কুল পড়ার সময় থেকে আমি ওঁনার খুব বড় ফ্যান। তা ছাড়া দিদি মানুষের জন্য অনেক কাজ করেছেন। সেই জন্যই আজ আমি দিদির হাত ধরলাম।’’

Advertisement

বুধবার যোগদানের পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি নিয়ে মতুয়াদের ভুল বুঝিয়েছেন তা প্রমাণ হয়ে গেল। মতুয়া সম্প্রদায়কে ভুয়ো নাগরিকত্ব নিয়ে এত দিন যে প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস দিয়েছিল তা-ও মিথ্যে। ছ’মাসের মধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন চালু করার কথা ছিল কিন্তু মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জানা গেল, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও কোনও নীতি নির্ধারণ করতে পারেনি। অতএব, এত দিন ভুয়ো নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ভোট নিয়েছে।’’

জানুয়ারির শেষে রাজ্য সফরে এসে মতুয়াদের গড় ঠাকুরনগরের জনসভা করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু শেষ মূহূর্তে সেই সভা বাতিল হয়ে যায়। যা নিয়ে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, ‘‘বাংলা ও অসমে একসঙ্গে ভোট রয়েছে। নাগরিকত্ব নিয়ে দুই রাজ্যে দু’রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অসম হাতছাড়া হওয়ার ভয়েই কি বাংলায় এলেন না অমিত শাহ? আমরা চাই তিনি আসুন, ঠাকুরনগরে দাঁড়িয়ে বলুন সিএএ নিয়ে বিজেপি কী ভাবছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন