Mamata Banerjee

চাণক্য, পাণিনির অনুসরণেই মমতা প্রশাসন চালান, বললেন কাকলি

সাম্প্রতিক কালের রাজনীতিতে অমিত শাহকে ‘বিজেপি-র চাণক্য’ বলা হয়। সিপিএমের অনিল বিশ্বাসও একদা একই অভিধা পেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৫
Share:

মমতাকে চাণক্যের সঙ্গে তুলনা কাকলির।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসননীতিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ বার ইতিহাসের দুই চরিত্র ‘চাণক্য’ এবং ‘পাণিনি’কে তুলে ধরল তৃণমূল। ওই দু’ই ঐতিহাসিক চরিত্রের বলে যাওয়া পথেই হেঁটে চলেছেন মমতা, বুধবার এমন ব্যাখ্যাই দিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। গত ১০ বছরের শাসনকালে মমতা যে চাণক্য, পাণিনি বর্ণিত শাসননীতি অনুসরণ করে চলেছেন, তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে সে কথাই বলেছেন তিনি।

Advertisement

সাম্প্রতিক কালের রাজনীতিতে অমিত শাহকে ‘বিজেপি-র চাণক্য’ বলা হয়। সিপিএমের অনিল বিশ্বাসও একদা একই অভিধা পেয়েছিলেন। এ বার তৃণমূলও মমতাকে সেই বন্ধনীতে নিয়ে এল। বুধবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারের সঙ্গে এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের তুলনা টেনে কাকলি দাবি করেন, অতীতে সু-প্রশাসনের যে ধারণা চাণক্য দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ তা পালন করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘চাণক্য বলে গিয়েছেন, সু-প্রশাসক তিনিই হবেন, যিনি প্রতি মুহূর্তে মানুষের কথা ভেবে কাজ করবেন। ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নীতিকে অনুসরণ করে গিয়েছেন। এবং তা পূরণ করতে পেরেছেন।’’

বিজেপি-র সরকারের সঙ্গে রাজ্যের শাসননীতির যে কোনও মিল নেই, কাকলি সে দাবিও করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সর্বদা নিজেদের স্বার্থে কাজ করে। যেন তেন প্রকারেণ তারা ক্ষমতা দখল করতে চায়। তাদের আমলে কোনও উন্নয়ন হয়নি!’’ ক্ষমতার জন্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, খুন, গুন্ডামি করতে হলে বিজেপি তাই করবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। মোদীর শাসনকালে ভারতের অর্থনীতি, আইনের শাসন সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন কাকলি।

Advertisement

আরও পড়ুন: নীলবাড়ির হিসাব পাল্টাতে পারে ৩০ আসন, মতুয়া-মন খুঁজছে বিজেপি​

চাণক্যের নীতির সঙ্গে মমতা ও মোদী প্রশাসনের তুলনাও টানেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘সু-প্রশাসক মানুষের স্বার্থের জন্য কী কাজ করবে তার একটি পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনা কর্মে রূপায়িত করার কথাও বলেছিলেন চাণক্য। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মোদীর কোনও পরিকল্পনা নেই। তাঁর শাসনকালে ভারতের অর্থনীতি তলানিতে এসে পৌঁছেছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘স্বাধীনতার পর গত ৪৫ বছরে ভারতের অবস্থা এত খারাপ হয়নি। বেকারত্বের হারও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতেও বেকারত্বের হার কমেছে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে এই রাজ্য। এই পরিস্থিতিতেও ৪৩ শতাংশ যুবক-যুবতীদের কর্মের সুযোগ এই সরকার তৈরি করতে পেরেছে।’’

আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখী নিয়ে রত্নাকে আপাতত নীরবই থাকতে নির্দেশ তৃণমূলের​

মমতার শাসননীতি প্রসঙ্গে চাণক্যের পাশাপাশি ভাষাবিদ পাণিনির কথাও তুলেছেন কাকলি। তাঁর মতে, পাণিনি যে আঞ্চলিক, নিম্নবর্গের মানুষের ভাষা ও উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই নীতিই অবলম্বন করেছেন। তাঁর চোখ এড়ায়নি সাঁওতালি ও রাজবংশীদের উন্নয়নের দাবিদাওয়াগুলিও। কাকলির কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশী ভাষায় পড়াশোনার জন্য কলেজ করেছেন। পাঠ্য বইতে অলচিকি লিপি নথিভুক্ত করেছে। মমতার দক্ষতা এবং সু-প্রশাসক হিসেবে তাঁর কর্মকাণ্ড বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে অপরিহার্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন