kaliachak

Kaliachak Murder: খুন কবুল করায় আসিফকে হেফাজতে চাইল না পুলিশ, জেলে পাঠাল মালদহ আদালত

১২ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার মালদহ আদালতে তোলা হয় আসিফকে। বিচারক তাকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২১ ২১:৫০
Share:

আসিফকে মালদহ আদালতে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।

মালদহের কালিয়াচকে পরিবারের চার জনকে পানীয়ের মধ্যে নেশার ওষুধ মিশিয়ে খুন করেছিল অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফ। মালদহ আদালতে এ কথা জানিয়ে সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইতিমধ্যেই পুলিশি জেরায় আসিফ খুনের কথা স্বীকার করেছে। ১২দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে বৃহস্পতিবার মালদহ আদালতে তোলা হয় আসিফকে। বিচারক তাকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল জানিয়েছেন, তদন্ত এগোচ্ছে. বেশ কিছু প্রমাণ এবং নথিপত্র মিলেছে। আদালতে তার নমুনা জমা দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন, ‘‘আসিফ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, সে-ই খুন করেছে। মৃতদেহের কফিন প্লাইউড সে নিজেই বানিয়েছি। এই প্লাইউড কোথা থেকে কেনা হয়েছিল, তা-ও জানিয়েছে। যে বোতলে রাখা ফলের রসে ঘুমের ওষুধ মেশানো হয়েছিল সেটিও নমুনা হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সব কিছু দেখে তাই নতুন করে পুলিশ তাকে আর হেফাজতে নিতে চায়নি। সে আপাতত জেল হেফাজতে থাকবে। দু’দিন পর আবার তাকে সশরীরে আদালতে পেশ করা হবে।’’

কালিয়াচক খুন-কাণ্ডে অভিযুক্ত আসিফের আইনজীবী মহম্মদ সন্টু মিঁয়া বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে আমরা যা বলার আদালতকে জানিয়েছি। দু’দিন পর আবার আমার মক্কেলকে আদালতে তোলা হবে। সেখানে আমরা আমাদের দিক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন অভিযুক্তের দাদা আরিফ কালিয়াচক থানায় অভিযোগ করে তার বাবা, মা, ঠাকুমা এবং বোনকে নৃশংস ভাবে খুন করে বাড়িতে পুঁতে রেখেছে আসিফ। সেদিন রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পরের দিন চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে উঠে আসে এই অভিযুক্ত ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করত এবং তার মাধ্যমে প্রচুর অস্ত্র কিনেছিল। এই ঘটনায় আসিফের দুই বন্ধুকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। অভিযোগকারী আরিফের দাবি,

২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফলের রসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়েছিল আসিফ। সেই রস খেয়েছিলেন আসিফের পরিবারের সকলে। ওই রস খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ার পর বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমাতে শ্বাসরোধ করে খুন করে আসিফ। তার পর বাড়ির মধ্যে মাটির নীচে থাকা জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয় দেহ। ইতিমধ্যেই আসিফকে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন