(বাঁ দিকে) অমিত শাহ এবং শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কোচবিহারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি) যে ভারতীয় কৃষককে অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ, তিনি অবশেষে মুক্তি পেলেন। পাকিস্তান থেকে যে দিন মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরলেন বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউ, সেই একই দিনে বাংলাদেশ থেকেও ভারতীয় কৃষক উকিল বর্মণের ঘরে ফেরার খবর এল। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ কোচবিহারের ওই কৃষককে মুক্তি দেওয়ার পরে বুধবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিএসএফের ডিজিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষককে সীমান্তবর্তী চাষের জমি থেকে অপহরণের প্রসঙ্গ তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। রাজ্যরে মুখ্যসচিবকে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন যথাযথ জায়গায় কথা বলতে। তবে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে কারও নাম বা ঠিকানা উল্লেখ করেননি। তাই মুখ্যমন্ত্রী যাঁর কথা উল্লেখ করেছিলেন, সেই কৃষকই ফিরলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
অপহৃতকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা-সহ সমস্ত বিষয়টি মুখ্যসচিবকে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে গণমাধ্যমের প্রতি তাঁর বার্তা ছিল, সংবাদ পরিবেশনের সময় সংবেদনশীল থাকার। এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, ‘‘কারা ওই ব্যক্তিকে চিনিয়ে দিয়েছিলেন সেই সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছে তথ্য আছে।’’ বলেছিলেন, ‘‘কে দেশি আর কে বিদেশি তা চিহ্নিত করার অধিকার কোনও পার্টির নেই। তাঁকে নিজের জমি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।’’ মমতার কটাক্ষ ছিল, ‘‘ঘরশত্রু বিভীষণ।’’
এ দিন সন্ধ্যায় শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডল থেকে লেখেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে উকিল বর্মণের মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও অমিত শাহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’’ ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে এই পোস্ট কারার পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গত ১৬ এপ্রিল কোচবিহারের শীতলকুচির সীমান্ত এলাকা থেকে রাজবংশী সম্প্রদায়ের এই কৃষক অপহৃত হয়েছিলেন।