Cash Money

কলকাতায় আবার তাড়া তাড়া নোট! এ বার স্ট্র্যান্ড রোডে নগদ মিলল দু’টি ব্যাগে, ধৃত তিন

দুটি ব্যাগ খুলতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো রয়েছে টাকার বান্ডিল। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ৫০০ টাকার বান্ডিল ছিল ওই ব্যাগে। এ ছাড়া কিছু ১০০ টাকার নোট ছিল। সব মিলিয়ে টাকার অঙ্ক ৪৩ লক্ষ!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:০৩
Share:

পুলিশ সূত্রে খবর, দুটি ব্যাগে ৫০০ টাকার নোট ছিল সবচেয়ে বেশি। ১০০ টাকার নোটও রয়েছে কিছু। —নিজস্ব চিত্র।

আবার কলকাতার বুকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনা। গ্রেফতার হলেন মোট তিন জন। লালবাজার সূত্রে খবর, স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় ধৃতদের কাছ থেকে দুটি ব্যাগে ৪৩ লক্ষ ৫০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ওই টাকা কোথায় পাচার হচ্ছিল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার বিকেলে উদ্দেশ্যহীন ভাবে তিন ব্যক্তিকে ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখার কয়েক জন আধিকারিক তাঁদের গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাঁদের কাছে থাকা দুটি ব্যাগ খুলতেই দেখা যায় থরে থরে সাজানো রয়েছে টাকার বান্ডিল। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত ৫০০ টাকার বান্ডিল ছিল ওই ব্যাগে। এ ছাড়া কিছু ১০০ টাকার নোটও ছিল। সব মিলিয়ে ওই টাকার অঙ্ক প্রায় ৪৩ লক্ষ! কিন্তু কোথা থেকে এই টাকা পেলেন, কাকে এই টাকা দেওয়া হবে— এই সমস্ত প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেননি তিন ব্যক্তি। তাঁদের বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় পুলিশ গ্রেফতার করে।

লালবাজার সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম বিমল ওঝা, আমনকুমার তিওয়ারি এবং বিমলকুমার দুবানি। তাঁদের জেরা চলছে। কোথা থেকে এই টাকা মিলল এ নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে কলকাতায় বার বার মোটা অঙ্কের নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা সামনে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা পাওয়া যায়। তার পর গার্ডেনরিচে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে এক অধ্যাপকের বাড়ি থেকে পাওয়া যায় ৩২ লক্ষ টাকা। নাথুপাল ঘাট রোড এলাকায় শিরোমণি আবাসনের একতলার বাসিন্দা অধ্যাপক অমিতাভ দাসের বাড়িতে টানা তল্লাশি করে ওই টাকা উদ্ধার করেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক এবং খড়দহ থানার পুলিশ। প্রতিবেশীদের দাবি, অমিতাভ পেশায় অধ্যাপক। তিনি, তাঁর স্ত্রী বর্ণালি সাধুখাঁ এবং এক সন্তান থাকেন ওই ফ্ল্যাটে। গত আড়াই বছর ধরে সেখানে বসবাস করতেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন