—প্রতীকী ছবি।
গাড়িতে সাঁটা পুলিশ স্টিকার। মাথায় বসানো নীল বাতি। এমনই একটি গাড়িতে করে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম সুমন চক্রবর্তী, অরূপ আচার্য এবং সুকান্ত সাহা। সোমবার তাদের আদালতে তোলা হলে তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযোগকারী যুবক জানিয়েছেন, তাঁকে মারধর করে টাকা আদায়েরও চেষ্টা করেছিল ধৃতেরা।
পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে সুকান্তনগরে। সোমনাথ সর্দার নামে ওই যুবকের অভিযোগ, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সুকান্তনগরে একটি ক্লাবের কাছে দোকানে দাঁড়িয়ে তিনি চা খাচ্ছিলেন। সেই সময়ে ক্লাবের সামনে এসে দাঁড়ায় একটি গাড়ি। গাড়িতে পুলিশ স্টিকার ছিল, মাথায় জ্বলছিল নীল আলো। সোমনাথ জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে নেমে তিন ব্যক্তি নিজেদের বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেয় এবং তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়।
এর পরে গাড়ি এসে থামে বিধাননগর থানার কাছে একটি জায়গায়। পুলিশকে সোমনাথ জানিয়েছেন, সেখানে তাঁর কাছে টাকা দাবি করে তিন জন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করা হয়। এর পরে ফের তাঁকে গাড়িতে তুলে সল্টলেকের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে অভিযুক্তেরা। শেষে এক জায়গায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের দেখে চিৎকার করে সাহায্য চান সোমনাথ। চিৎকার শুনে পুলিশ গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে এবং ওই যুবককে উদ্ধার করে। অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাড়িটিও। পরে সোমনাথের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জনের বাড়ি নারকেলডাঙা এলাকায়। অন্য দু’জন স্থানীয় বাসিন্দা। কিন্তু কেন তারা ওই যুবককে অপহরণ করল এবং তার কাছে টাকা দাবি করল, তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে তদন্তকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অভিযোগকারীর সঙ্গে অভিযুক্তদের পূর্ব পরিচিতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।