প্রতীকী ছবি।
চুরিতে জড়িত সন্দেহে এক তরুণকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন এক অফিসার। মাঝপথে তাঁকে ঘরে একলা রেখে বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখলেন, সিলিং ফ্যান থেকে বেল্টের ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন ওই যুবক! মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মেটিয়াবুরুজ থানায়। পুলিশ জানায়, আকিবুল মোল্লা (১৮) নামে ওই যুবককে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে বলে ঘোষণা করেন। মৃতের বাড়ি বন্দরের নাদিয়াল এলাকায়।
পুলিশ জানায়, আকিবুলকে গ্রেফতার করা হয়নি। সন্দেহভাজন হিসেবে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। থানায় এমন ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার দায় থানা কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
কলকাতা পুলিশের ডিসি (বন্দর) সৈয়দ ওয়াকার রেজা জানান, ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অফিসারকে দিয়ে আকিবুলের দেহের সুরতহাল করা হয়েছে। বুধবার দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। কী ভাবে ঘটনাটি ঘটল, তা পদস্থ কর্তারা খতিয়ে দেখছেন। গাফিলতির প্রমাণ মিললে শাস্তিও দেওয়া হবে। তবে বুধবার রাত পর্যন্ত আকিবুলের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আকিবুল মাদকাসক্ত ছিলেন। তাঁর পরিবারও তদন্তকারীদের তেমনটাই জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, নেশার কারণেই তিনি কুকর্মে জড়়িয়েছিলেন। সেই কারণেই চুরির তদন্তে নেমে আকিবুলের জড়িত থাকার কথা জানা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা স্পষ্ট নয়। মঙ্গলবার রাতেই কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা মেটিয়াবুরুজ থানায় যান। পুলিশ সূত্রের দাবি, আকিবুলের মৃত্যুর পরে বন্দর এলাকা অশান্ত হয়ে উঠতে পারত বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু পদস্থ কর্তাদের হস্তক্ষেপে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।