টাকা চুরি করে গ্রেফতার কর্মচারী

পুলিশ সূত্রের খবর, ৪ জুন হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের কর্মী শেষধর পাণ্ডেকে ওই দিন সকালে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কে জমা করার জন্য। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৯ ০২:১৬
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দু’বার ফোন বদল এবং পাঁচ বার সিম বদল করেও শেষ রক্ষা করতে পারল না ১৫ লক্ষ টাকা চুরির অভিযোগে এক অভিযুক্ত। সোমবার সকালে, উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরে নিজের বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করেন হেয়ার স্ট্রিট থানার তদন্তকারীরা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েতে, ধৃতের নাম শেষধর পাণ্ডে ওরফে তুফানি। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী সে। তার বাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া পুরো টাকা। ধৃতকে ওই রাতেই কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। মঙ্গলবার তাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারক আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, ৪ জুন হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে অভিযোগ করা হয়, তাঁদের কর্মী শেষধর পাণ্ডেকে ওই দিন সকালে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্কে জমা করার জন্য। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তার কোনও হদিস নেই। সেই সঙ্গে তার মোবাইলটিও বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

তদন্তে নেমে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ জানতে পারে, অফিসে জমা দেওয়া অভিযুক্তের মেটিয়াবুরুজের ঠিকানাটি ভুল। সেখানে ওই নামে কেউ থাকেন না। অভিযুক্তের মোবাইলটি ঘটনার পর থেকে ব্যবহার করাও হয়নি। ফোন নম্বর খতিয়ে দেখতে গিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ঘটনার আগে ওই নম্বর থেকে উত্তরপ্রদেশের একটি নম্বরে কয়েক বার কথা হয়েছে অভিযুক্তের। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের ওই নম্বর অনুসরণ করেও তদন্তে এগোয়নি। এর পরেই খতিয়ে দেখা হয় অভিযুক্ত আর কোন নম্বরে বেশি ফোন করেছে। জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে ওই নম্বর থেকে কথা বলেছে তুফানি। সেই সূত্র ধরেই জানয়া যায়, ঘটনার পরে অভিযুক্ত দু’বার ফোন বদল করেছে। একাধিক বার সিম বদলেছে।

তদন্তকারীদের দাবি, স্ত্রীর ফোনের মাধ্যমে তুফানির নতুন ফোনের হদিস মেলে। তাতেই জানা যায়, মির্জাপুরের বাড়িতে লুকিয়ে সে। সোমবার সেখানেই হানা দিয়ে তাকে ধরেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয় চুরির টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement