প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে থানায় ধরা দিলেন অভিযুক্ত

এ দিন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে ওই আইনজীবীকে হাজির করায় পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০১
Share:

আদালত চত্বরে অভিযুক্ত তড়িৎ শিকদার। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

ভবানীপুরে মার খেয়ে ফুটপাতে পড়ে যাওয়ার পরে রমেশ বেহেল নামে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে পুলিশের কাছে ধরা দিলেন অভিযুক্ত আইনজীবী। পুলিশ জানায়, তড়িৎ শিকদার নামে ওই ব্যক্তি সোমবার ভবানীপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন।

Advertisement

এ দিন আলিপুর আদালতের মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে ওই আইনজীবীকে হাজির করায় পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান সরকারি আইনজীবী। ভারপ্রাপ্ত বিচারক আম্রপালি চক্রবর্তী ওই আইনজীবীর শর্তাধীন জামিন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বকুলবাগান রোড এলাকায় রমেশ বেহেল নামে এক প্রৌঢ়ের গাড়িতে ধাক্কা মারে তড়িতের গাড়ি। ওই ঘটনায় রমেশবাবুর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তড়িৎ। অভিযোগ, তখনই তড়িৎ রমেশবাবুকে চড় মারেন। মারের চোটে ফুটপাতে পড়ে মাথায় চোট পান রমেশবাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই ফেরার ছিলেন তড়িৎ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বকুলতলা রোডেই ওই আইনজীবীর বাড়ি। ঘটনার পর থেকে নানা জায়গায় তাঁর খোঁজ চলছিল। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ভবানীপুর থানার একটি দল। পাশাপাশি ওই আইনজীবীর এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেওয়া হয়। এর পরেই সোমবার সকালে তিনি থানায় এসে ধরা দেন।

এ দিন দুপুরে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও শুভময় ভট্টাচার্য-সহ জনা পঞ্চাশ আইনজীবী ঘণ্টাখানেক তড়িতের হয়ে আদালতে তাঁর জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। তাঁরা দাবি করেন, তড়িৎ তদন্তে সহযোগিতা করছেন। সেই কারণেই তিনি থানায় গিয়ে ধরা দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী সৌরীন ঘোষাল কোর্টে বলেন, ‘‘অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন আছে। ওই আইনজীবীর গাড়িটিও বাজেয়াপ্ত করা দরকার। তা ছাড়া, রমেশবাবুর পাড়ায় অভিযুক্তের বাড়ি। রমেশবাবুকে মারধর করার পিছনে কোনও উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা-ও দেখা দরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন