ভেজাল দুধ পাঠানো হত কলকাতার বাইরেও

শুধু কলকাতা নয়, কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গাতেও সরবরাহ করা হত ক্যান ভর্তি ভেজাল দুধ। মূলত ওই সব এলাকার মিষ্টির দোকানগুলিতেই যেত শিয়ালদহের বৈঠকখানা রোডের একটি বাড়িতে তৈরি ওই দুধ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:১৯
Share:

কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া ভেজাল দুধ। —নিজস্ব চিত্র।

শুধু কলকাতা নয়, কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গাতেও সরবরাহ করা হত ক্যান ভর্তি ভেজাল দুধ। মূলত ওই সব এলাকার মিষ্টির দোকানগুলিতেই যেত শিয়ালদহের বৈঠকখানা রোডের একটি বাড়িতে তৈরি ওই দুধ। ওই বাড়ি থেকে গ্রেফতার হওয়া তিন দুধ ব্যবসায়ীকে জেরা করে এই তথ্য হাতে এসেছে কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখা (ইবি)-র গোয়েন্দাদের। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বমাল পাকড়াও করেছিলেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

পুলিশ জেনেছে, ব্যারাকপুর থেকে ওই ভেজাল দুধ তৈরির প্রধান উপকরণ বা তরল দুধ আনত তারা। ডিটারজেন্ট, অ্যারারুট, গুঁড়ো দুধ এবং রাসায়নিকের মিশ্রণ বানিয়ে তৈরি হত ভেজাল দুধ। প্রতিদিন পাঁচশো লিটারের মতো। যা মিষ্টির দোকান ছাড়াও বোতলবন্দি হয়ে গৃহস্থের বাড়িতে যেত বলে পুলিশের অনুমান।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃত তিন অভিযুক্ত ছাড়াও ভেজাল দুধ চক্রে আরও কয়েক জনের নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাদের খোঁজ চলছে।

Advertisement

এ দিকে, ভেজাল দুধ ধরতে এ বার অভিযান শুরু করল কলকাতা পুরসভাও। শনিবার ভোরে পুরসভার খাদ্য-সুরক্ষা দফতরের ইনস্পেক্টরেরা শিয়ালদহের দুধবাড়িতে যান। সেখানে গোয়ালারা দুধ বিক্রি করেন। বহু মানুষ সাতসকালে দুধ কিনতে আসেন সেখানে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের উপদেষ্টা তপনকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই জায়গা থেকে ৯টি পাত্রে আলাদা আলাদা দুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুরসভার পরীক্ষাগারে সেই সব নমুনা পরীক্ষা করানো হবে। প্রয়োজনে পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় পরীক্ষাগারেও।’’ রিপোর্ট পেতে দু’সপ্তাহ সময় লাগবে। দুধে ভেজাল পাওয়া গেলে ওই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন