শুভেন্দু ও সৌম্যেন্দু দল ছাড়ার পর অধিকারী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মূলত অখিল-চিত্তদের মতো প্রবীণ তৃণমূল নেতাদের দিয়েই প্রাথমিক ভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
দাদা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে ভাই সৌম্যেন্দুর বিজেপি-তে যাওয়ার পরেই পূর্ব মেদিনীপুরে যুব তৃণমূলে বদল আনলেন রাজ্য নেতৃত্ব। শনিবার রাতে বিবৃতিতে জারি করে জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি পার্থসারথি মাইতিকে রাজ্য সংগঠনের সহ-সভাপতি পদে আনা হল। বদলে রাজ্যের সহ-সভাপতি পদে থাকা সুপ্রকাশ গিরিকে ফের জেলা যুব সংগঠনের সভাপতি করা হয়েছে।
গত বছরের ২৩ জুলাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সুপ্রকাশকে সরিয়ে আনা হয়েছিল পার্থসারথিকে। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে আবারও রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশকে জেলা যুব সভাপতি পদে আনা হল। রাজ্য কমিটিতে তাঁর জায়গায় পাঠানো হল পার্থসারথিকে।
অধিকারীদের বিরোধী বলে সুপ্রকাশ ও পার্থসারথি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে পরিচিত। সুপ্রকাশের বাবা রামনগরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে যেমন অধিকারী পরিবারের বনিবনা ছিল না। পার্থসারথির বাবা চিত্ত মাইতিও অধিকারীদের বিরোধী। তমলুকের শিক্ষক নেতা হিসেবেই পরিচিতি চিত্তবাবুর। এই রদবদলকে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে রাজ্য তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, শুভেন্দু ও সৌম্যেন্দু দল ছাড়ার পর অধিকারী সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মূলত অখিল-চিত্তদের মতো প্রবীণ তৃণমূল নেতাদের দিয়েই প্রাথমিক ভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিনের আরও একটি বদল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে চোখ টেনেছে। হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ আসগর আলিকেও জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে। আসগর আবার পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু, শুভেন্দু হলদিয়ার অন্য কাউন্সিলরদের দলবদলে সফল হলেও, আসগর থেকে গিয়েছেন তৃণমূলেই। মনে করা হচ্ছে, তারই পুরস্কারস্বরূপ এই পদ দেওয়া হয়েছে আসগরকে। শুভেন্দু সহ অধিকারী পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু ‘ঘরশত্রু বিভীষণ’দের ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল। সে ক্ষেত্রে তেমনই একটি ঘুঁটি হচ্ছে আসগর।
আরও পড়ুন: সোমে কলকাতায় বাইক র্যালিতে শোভন-বৈশাখী, সঙ্গে কৈলাসও
আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় নতুন রূপে অ্যাপ বিধাননগর পুলিশের